ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নেপালের প্রতিশোধ নাকি বাংলাদেশের দ্বিতীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৬ বার

২০২২ সালে ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর সাদখোলা বাসে সংবর্ধনাও পেয়েছিলেন ফুটবলাররা। এবার লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। ভুটানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে।

এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েদের সাফের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল। ২০২২ সালে কাঠমান্ডুতেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

সেবার হারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে নেপালের মেয়েরা। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে পাঁচবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি তারা। তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা খরা কাঁটাতে চাইবে নেপাল।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সমানে রয়েছে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। তাই ফাইনালে সেরাটা দেওয়ার বিকল্প নেই সাবিনা-তহুরাদের সামনে। ফাইনালের আগে সাদখোলা বাসের সেই উদযাপনের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন সানজিদা আক্তার।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাদখোলা বাসে উদযাপন করার স্মৃতি মনে করিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট দিয়েছেন সানজিদা আক্তার।

পোস্টে সানজিদা লিখেছেন, ২০২২ সালে ছাদখোলা বাসে উদযাপন করার এই দৃশ্য দেখাটা দেশবাসীর জন্য যেমন ছিল প্রথম, আমাদের জন্যও ছিল অসাধারণ এক অনুভূতি। আমাদের আবেগকে সম্মান দেখিয়ে রাতারাতি যে আয়োজন করা হয়েছিল, একইসঙ্গে তপ্তরোদে দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ রাস্তার চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য আমাদেরকে আন্দোলিত করেছে।

‘আগেরবার যেটি ছিল প্রথমবার অর্জনের চেষ্ঠা, সেটিই এবার ধরে রাখার মিশন। দায়িত্ব বেড়েছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাজই এটা। স্বাগতিক প্রতিপক্ষ, সেই প্রতিপক্ষের মাঠ, আবার সেই প্রতিপক্ষের চেনা দর্শকদের সামনে আমরা খেলতে যাচ্ছি। অবশ্যই সেটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। তবে আমরা সদা আত্মবিশ্বাসী ও দেশমাতৃকার নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

তিনি আরও লিখেছেন, দেশের সংস্কার ও নতুন জাগ্রত কর্মকাণ্ডের প্রেষণা দিতে আমাদের ভালো করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রফি ধরে রাখার মিশন ও দেশবাসীকে আরেকবার উদযাপনের উপলক্ষ্য হতে আমরা এটি জিততে চাই। আর সেটি আমরা করে দেখাবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য, প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে নেপাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নেপালের প্রতিশোধ নাকি বাংলাদেশের দ্বিতীয়

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

২০২২ সালে ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর সাদখোলা বাসে সংবর্ধনাও পেয়েছিলেন ফুটবলাররা। এবার লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। ভুটানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে।

এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েদের সাফের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল। ২০২২ সালে কাঠমান্ডুতেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

সেবার হারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে নেপালের মেয়েরা। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে পাঁচবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি তারা। তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা খরা কাঁটাতে চাইবে নেপাল।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সমানে রয়েছে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। তাই ফাইনালে সেরাটা দেওয়ার বিকল্প নেই সাবিনা-তহুরাদের সামনে। ফাইনালের আগে সাদখোলা বাসের সেই উদযাপনের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন সানজিদা আক্তার।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাদখোলা বাসে উদযাপন করার স্মৃতি মনে করিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট দিয়েছেন সানজিদা আক্তার।

পোস্টে সানজিদা লিখেছেন, ২০২২ সালে ছাদখোলা বাসে উদযাপন করার এই দৃশ্য দেখাটা দেশবাসীর জন্য যেমন ছিল প্রথম, আমাদের জন্যও ছিল অসাধারণ এক অনুভূতি। আমাদের আবেগকে সম্মান দেখিয়ে রাতারাতি যে আয়োজন করা হয়েছিল, একইসঙ্গে তপ্তরোদে দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ রাস্তার চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য আমাদেরকে আন্দোলিত করেছে।

‘আগেরবার যেটি ছিল প্রথমবার অর্জনের চেষ্ঠা, সেটিই এবার ধরে রাখার মিশন। দায়িত্ব বেড়েছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাজই এটা। স্বাগতিক প্রতিপক্ষ, সেই প্রতিপক্ষের মাঠ, আবার সেই প্রতিপক্ষের চেনা দর্শকদের সামনে আমরা খেলতে যাচ্ছি। অবশ্যই সেটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। তবে আমরা সদা আত্মবিশ্বাসী ও দেশমাতৃকার নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

তিনি আরও লিখেছেন, দেশের সংস্কার ও নতুন জাগ্রত কর্মকাণ্ডের প্রেষণা দিতে আমাদের ভালো করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রফি ধরে রাখার মিশন ও দেশবাসীকে আরেকবার উদযাপনের উপলক্ষ্য হতে আমরা এটি জিততে চাই। আর সেটি আমরা করে দেখাবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য, প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে নেপাল।