ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই গরুটির দাম ২২ লাখ টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৩৯৩ বার

গরু পালনকারী এর নাম রেখেছেন ‘বাদশা’। দাম হাঁকিয়েছেন ২২ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা বাজারে নিয়ে এসেছেন পালনকারী বকুল মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরিকা গরুর বাজারের প্রবেশপথে রাখা হয়েছে সেটিকে।

শুধু বাদশা নয়; এর মতো আরও চারটি গরু আছে বকুল মিয়ার। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বড় গরু কোরবানি দেন জানতে পেরে প্রথমবারের মতো এখানে গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। ট্রাকে করে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু গ্রাম থেকে গরুগুলো নিয়ে

এসেছেন এই ব্যবসায়ী।

২০ বছর ধরে গরুর ব্যবসায় জড়িত বকুল মিয়া বলেন, ‘আমি সারা বছর গরু লালন-পালন করে থাকি। দেশের বড় বাজারগুলোতে গরু নিয়ে যাই। ক্রেতারা গরুগুলো দেখতে এলেও এখনও দরাদরি করছেন না। আশা করি, ভালো দামে গরুগুলো বিক্রি করতে পারব।’

বকুল মিয়া বলেন, এই পাঁচটি গরুর পেছনে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খাবারের জন্য ব্যয় হয়। পাঁচ বছর আগে ৪৫ হাজার টাকায় কেনা। বাদশাকে লালন-পালনে তার খরচ হয়েছে সাত থেকে আট লাখ টাকা। কত টাকায় বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৫ লাখ টাকা হলে গরুটি ক্রেতার হাতে তুলে দেব।’

তিনি আরও জানান, বড় গরুটির চেয়ে একটু ছোট গরুটির মূল্য ১৮ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ১২ লাখ টাকা হলে সেটি বিক্রি করবেন। অন্য তিনটি গরু ১৫ লাখ করে দাম হাঁকালেও আট থেকে নয় লাখ টাকা করে বিক্রি করবেন।

সাগরিকা গরুর বাজারের প্রবেশপথের পাশে অস্থায়ী গরুর বাজার ইউনুস মার্কেটের মালিককে জায়গা ভাড়া বাবদ প্রদান করতে হবে ৫০ হাজার টাকারও বেশি। গরুগুলো আনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এই গরুটির দাম ২২ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ০৫:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গরু পালনকারী এর নাম রেখেছেন ‘বাদশা’। দাম হাঁকিয়েছেন ২২ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা বাজারে নিয়ে এসেছেন পালনকারী বকুল মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরিকা গরুর বাজারের প্রবেশপথে রাখা হয়েছে সেটিকে।

শুধু বাদশা নয়; এর মতো আরও চারটি গরু আছে বকুল মিয়ার। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বড় গরু কোরবানি দেন জানতে পেরে প্রথমবারের মতো এখানে গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। ট্রাকে করে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু গ্রাম থেকে গরুগুলো নিয়ে

এসেছেন এই ব্যবসায়ী।

২০ বছর ধরে গরুর ব্যবসায় জড়িত বকুল মিয়া বলেন, ‘আমি সারা বছর গরু লালন-পালন করে থাকি। দেশের বড় বাজারগুলোতে গরু নিয়ে যাই। ক্রেতারা গরুগুলো দেখতে এলেও এখনও দরাদরি করছেন না। আশা করি, ভালো দামে গরুগুলো বিক্রি করতে পারব।’

বকুল মিয়া বলেন, এই পাঁচটি গরুর পেছনে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খাবারের জন্য ব্যয় হয়। পাঁচ বছর আগে ৪৫ হাজার টাকায় কেনা। বাদশাকে লালন-পালনে তার খরচ হয়েছে সাত থেকে আট লাখ টাকা। কত টাকায় বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৫ লাখ টাকা হলে গরুটি ক্রেতার হাতে তুলে দেব।’

তিনি আরও জানান, বড় গরুটির চেয়ে একটু ছোট গরুটির মূল্য ১৮ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ১২ লাখ টাকা হলে সেটি বিক্রি করবেন। অন্য তিনটি গরু ১৫ লাখ করে দাম হাঁকালেও আট থেকে নয় লাখ টাকা করে বিক্রি করবেন।

সাগরিকা গরুর বাজারের প্রবেশপথের পাশে অস্থায়ী গরুর বাজার ইউনুস মার্কেটের মালিককে জায়গা ভাড়া বাবদ প্রদান করতে হবে ৫০ হাজার টাকারও বেশি। গরুগুলো আনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।