ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশে ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৯৫ কোটি ডলার ইটনায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও বস্ত্র বিতরণ প্রবাসে প্রেমিক ও লালমাইয়ে নববধূর আত্মহত্যা, চিরকুটে একই কবরে দাফনের অনুরোধ খুনের চার মাস পর নারীর মরদেহ উদ্ধার কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি : রিজওয়ানা হাসান সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে অমিত শাহ, বেনাপোলে ভোগান্তি অভিনয়ে সাফল্য পাননি তবুও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী!

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩ বার

রাজশাহীতে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মো. মীম (২৫)। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে আসা হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকায় মো. মীমের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুল মোমিন।

এলাকার লোকজন জানান, গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেলের আত্মীয় এই মীম। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন মীম। শনিবারই তিনি এলাকায় ফেরেন। এরপরই হামলার শিকার হন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে নগরের সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবক মীমকে ধাওয়া দেন। পঞ্চবটি এলাকায় এসে মীম তাদের হাতে ধরা পড়েন। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। ছুরিকাঘাতও করা হয়। পরে রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কে বা কারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে তা পুলিশ নিশ্চিত নয়।

এদিকে সাগরপাড়া এলাকার একটি গলির মুখে লাগানো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ৮-১০ জন যুবক মীমকে ধাওয়া দিচ্ছেন। তবে এই যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম বলেন, মীম আওয়ামী লীগ করতেন বলে জানা গেছে। তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা

আপডেট টাইম : ১২:১৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীতে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মো. মীম (২৫)। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে আসা হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকায় মো. মীমের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুল মোমিন।

এলাকার লোকজন জানান, গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেলের আত্মীয় এই মীম। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন মীম। শনিবারই তিনি এলাকায় ফেরেন। এরপরই হামলার শিকার হন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে নগরের সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবক মীমকে ধাওয়া দেন। পঞ্চবটি এলাকায় এসে মীম তাদের হাতে ধরা পড়েন। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। ছুরিকাঘাতও করা হয়। পরে রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কে বা কারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে তা পুলিশ নিশ্চিত নয়।

এদিকে সাগরপাড়া এলাকার একটি গলির মুখে লাগানো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ৮-১০ জন যুবক মীমকে ধাওয়া দিচ্ছেন। তবে এই যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম বলেন, মীম আওয়ামী লীগ করতেন বলে জানা গেছে। তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।