মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে একটি ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ সম্পর্কে সতর্ক করে লেবাননের হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর ইসরাইলের শুরু করা ‘বিশ্বাসঘাতক’ অভিযানের পুরো দায় ওয়াশিংটনের ওপর বর্তায়।
শনিবার এক বিবৃতিতে একথা বলে হিজবুল্লাহ।
বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, ‘ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদী আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করে এবং এটিকে সমগ্র অঞ্চলের জন্য একটি বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি বলে মনে করে।’
এতে বলা হয়, এই গণহত্যা, মর্মান্তিক ঘটনা এবং ইসরাইলের সৃষ্ট যন্ত্রণার সম্পূর্ণ দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়।
এদিকে, ইরানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইলি বোমা হামলার পর শনিবার রাশিয়া সতর্ক করেছে যে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে বৈরিতার ফলে ‘বিস্ফোরক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
মস্কে থেকে এএফপি জানায়, ইসরাইল হুঁশিয়ারি দিয়ছে যে তেহরান যদি এ হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়, তবে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন যে তিনি এই অঞ্চলে ‘চলমান বিস্ফোরক উত্তজনা বৃদ্ধি’তে উদ্বিগ্ন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা বন্ধ করতে এবং সকল ঘটনাবলিকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পরিণত হওয়া ঠেকানোর আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘ইরানকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে উস্কানি দেওয়া বন্ধ করা এবং অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা বৃদ্ধির আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের কাজানে এই উদীয়মান দেশগুলোর সংগঠন ব্রিকস-এর একটি শীর্ষ সম্মেলনে বলেছেন দুটি আঞ্চলিক হেভিওয়েটের মধ্যে উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যকে একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
পুতিন বলেন, ‘ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘর্ষের মাত্রা তীব্রভাবে বেড়েছে। এটি একটি চেইন প্রতিক্রিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছে।’
হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইসরাইলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। যে কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে তাতে কিছু জায়গায় ‘খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে।