ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মেডিকেল ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ২৯৫ বার

আসন্ন এমবিবিএস ও ডেন্টাল পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সব মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ যেকোনো ধরনের গুজব বা ভুয়া তথ্য ফেসবুক বা ইন্টারনেটে কেউ প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নীতিমালা সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।

কোনো অনিয়ম বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব না ছড়িয়ে যেকোনো অভিযোগ নিকটস্থ থানা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দ্রুত জানানোর জন্য সভা থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে আগামী ৭ অক্টোবর এমবিবিএস এবং ৪ নভেম্বর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে কুচক্রি মহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ চক্র কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন ব্যবস্থাপনাকে পুঁজি করে মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে ১০০ শতাংশ কমন সাজেশন্স অথবা কোনোভাবে ভর্তি করে দেবে বলে ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এসব বিষয়ে সতর্কতা জারি করে গত কয়েক বছর ধরেই মন্ত্রণালয় কোচিং বন্ধের নির্দেশনা জারি করে আসছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা ছিল না। ভর্তি পরীক্ষা নেয়া শুরু হয় ১৯৮০র দশকে।

বর্তমান পদ্ধতি অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসির ফল মিলিয়ে অন্তত ৮ জিপিএ থাকলে মেডিকেলে ভর্তির আবেদন করা যায়। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল, ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ ধরা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মেডিকেল ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ১২:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আসন্ন এমবিবিএস ও ডেন্টাল পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সব মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ যেকোনো ধরনের গুজব বা ভুয়া তথ্য ফেসবুক বা ইন্টারনেটে কেউ প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নীতিমালা সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।

কোনো অনিয়ম বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব না ছড়িয়ে যেকোনো অভিযোগ নিকটস্থ থানা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দ্রুত জানানোর জন্য সভা থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে আগামী ৭ অক্টোবর এমবিবিএস এবং ৪ নভেম্বর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে কুচক্রি মহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ চক্র কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন ব্যবস্থাপনাকে পুঁজি করে মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে ১০০ শতাংশ কমন সাজেশন্স অথবা কোনোভাবে ভর্তি করে দেবে বলে ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এসব বিষয়ে সতর্কতা জারি করে গত কয়েক বছর ধরেই মন্ত্রণালয় কোচিং বন্ধের নির্দেশনা জারি করে আসছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা ছিল না। ভর্তি পরীক্ষা নেয়া শুরু হয় ১৯৮০র দশকে।

বর্তমান পদ্ধতি অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসির ফল মিলিয়ে অন্তত ৮ জিপিএ থাকলে মেডিকেলে ভর্তির আবেদন করা যায়। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল, ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ ধরা হয়েছে।