শহীদ পারভেজ হাসানসহ আগস্ট বিপ্লবের শহীদেরা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, তাই অর্জিত বিজয় টেকসই, স্বার্থক ও ফলপ্রসূ করতে এসব জাতীয় বীরদের যথাযথ মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত শহীদ পারভেজ হাসান বাড়িতে গিয়ে আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে নগদ ২ লাখ টাকার অর্থিক অনুদান বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জামায়াত নেতারা শহীদ পারভেজের করবে ফাতেহা পাঠ করেন। এ সময় মহানগরী সেক্রেটারিও উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর জেলা আমীর মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মমিন উল্লাহ পাটোয়ারীসহ স্থানীয় নেতারা।
ড. রেজাউল করিম বলেন, দেশে প্রায় ১৬ বছর ধরে মাফিয়াতান্ত্রিক শাসন চলেছে। বাকশালীরা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে সারাদেশেই এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের অপশাসন-দুঃশাসন, গুম, খুন, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সকল সময়ের সীমা লঙ্ঘন করায় ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম এক অভিনব আঙ্গিকে একটি সফল ও স্বার্থক আন্দোলন করেছি। তারা প্রচলিত হরতালসহ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির বিপরীতে বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাট ডাউন এবং অসহযোগ আন্দোলনের স্মার্ট ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে প্রমাণ করেছেন, এ দেশের ছাত্র-জনতা সব সময়ই অপরাজেয় ও দুর্জেয়। তারা কখনো পরাভূত হয় না। তাদের সে ডাকেই সাড়া দিয়েছে রাজপথে নেমে এসেছিল দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। আর এই আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তিনি অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে বাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।