প্রথম দিনের ৩৫ ওভারের পর দুই দিনের বেশি সময় খেলা হয়নি বৃষ্টির প্রভাবে। না হওয়া আড়াই দিনের খেলা এক দিনেই পুষিয়ে দিল বাংলাদেশ ও ভারত। কানপুর টেস্ট এখন শেষ দিনের রোমাঞ্চে। যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ফল আসারও।
গ্রিন পার্কে আজ চতুর্থ দিন ক্ষণে ক্ষণে রং বদলাতে দেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্বীকার করে নিলেন, কানপুর টেস্টে একদমই নতুন এক অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য। ব্যাপারটিকে আরেক শিক্ষা হিসেবে উল্লেখ করলেন এই অলরাউন্ডার, ‘টেস্ট ক্রিকেটে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে। যেহেতু খেলা দুদিনে শেষ হচ্ছে। আগের দুদিন বৃষ্টির কারণে হয়নি। এ রকম পরিস্থিতি কখনো হয়নি। এখান থেকে আমর নতুন অনেক কিছু শেখার আছে, আমরা শিখতে পেরেছি।’
পুরো দিনে ছিল উইকেট বৃষ্টি আর ছক্কা-চারের ফুলঝুরি—১২ ছক্কা, ৬০ টির মতো চার, ১৮ উইকেট, ৪৩৭ রান। মুমিনুল হকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। তাণ্ডব চালিয়ে ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছিল তারা। সাকিব আল হাসান ও মিরাজ ঘূর্ণি জাদুতে টানেন লাগাম।
সাকিব-মিরাজ দুজনই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। ভারতের ব্যাটিংয়ের ধরনকে টি-টোয়েন্টি বললেন মিরাজ, ‘দেখেন টেস্টে সব সময় যেকোনো দৃশ্য দেখা যায়। আজ যেরকম খেলা হয়েছে, টি-টোয়েন্টির মতোই হয়েছে। জেতার জন্য খেলেছে। সবাই রানের জন্য খেলেছে। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের রান কীভাবে আটকানো যায়। তারা নম্বর ওয়ান দল। বিশ্বমানের ক্রিকেটার আছে তাদের দলে। কৃতিত্ব তো দিতেই হবে।’ ভারত ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৮.২২ হারে।
৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ২৬ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকেরা এখনো এগিয়ে ২৬ রানে। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা পিছিয়ে সফরকারীরা। কাল শেষ দিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করলে হয়তো অন্তত হারবে না তারা। প্রথম ইনিংসের মতো ধসে পড়লে ধবলধোলাই এড়ানো কঠিনই হবে শান্তদের।
মিরাজ অবশ্য এখনো এখনই দলকে পিছিয়ে রাখতে নারাজ, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সবই সম্ভব। আমরা যে হেরে গেছি, তা কিন্তু নয়। এ রকম অনেক ম্যাচ আমরা জিতেছিও, ভালো করেছি। আমাদের সুযোগ আছে। উইকেট এখনো ভালো আছে। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে যারা আছে, ওপর থেকে একটা ভালো জুটি হলে, একটা সেশন দায়িত্ব নিয়ে যদি ব্যাটিং করতে পারি আমাদের ভালো হবে। এখনো কালকের দিন আছে, এখনই এ রকম চিন্তা না করি।’