সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেহেদি হাসান মিরাজকে দলে না নেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপ দলে সম্পৃক্ত করিনি তার মূল কারণ ছিল আমরা টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং-বোলিং গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছিলাম, যাতে টি-টোয়েন্টির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভূমিকা না ফেলে বা বোলিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লের জন্য ভালো অপশন মনে করিনি। তার প্রচলিত বোলিং, অ্যাকশন এসবে যেন বিঘ্ন না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় টি-টোয়েন্টিতে ভালো বলও ছক্কা হয়ে যায়। এটাই অন্যতম কারণ ছিল। যারা ভাবছেন কেন তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি। এই ইস্যুতে মিরাজের সঙ্গে আমাদের স্পষ্টভাবে কথা হয়েছে।
টি-টোয়েন্টিতে মিরাজকে ওপরের দিকে খেলানো হবে জানিয়ে লিপু, মিরাজ যেখানে ব্যাটিং করবেন, সেখানে টি-টোয়েন্টিতে যেন আরও কিছু বল পান খেলার, ফিনিশারের ভূমিকায় না গিয়ে আরেকটু ওপরে তাকে আমরা দেখতে চাই।
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছে পারভেজ হোসেন ইমন। আর সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ায় তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় ইমনের। ২০২৩ সালের অক্টোবরে চীনে এশিয়ান গেমসে খেলেন তিনি। লম্বা বিরতির পর ভারত সিরিজে সুযোগ পেলেন এই তরুণ তারকা।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ব্যাটিংয়ে লিটন আছে, তামিমও (তানজিদ হাসান তামিম) আছে। সৌম্যর জায়গায় ইমনকে চেষ্টা করে দেখতে চাই। বিশ্বকাপের আগেও ট্রেনিং সেশনে রেখেছিলাম, পর্যবেক্ষণ করেছি। টাইগার্স ক্যাম্পে বেশ ভালো ট্রেনিং করেছে। আমাদের মনে হয়েছে, ভবিষ্যৎ ভাবনার প্রাথমিক পদযাত্রায় তাকে দলে শামিল করতে চাই।
ইমনের মতো অনেকদিন পর ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডার। সাকিবের জায়গায় মিরাজকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে লিপু বলেছেন, দ্য গ্রেট সাকিব আল হাসান ঘোষণা করেছেন নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তার যে অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্স, তার কাছাকাছি স্থলাভিষিক্ত এ মুহূর্তে না থাকলেও ব্যাটিংয়ে যিনি তার কাজ ভালোভাবে সামাল দিতে পারেন, সেরকম স্থলাভিষিক্ত মেহেদী মিরাজ। বিশেষ করে ভাবছি ব্যাটিংয়েই বেশি অবদান রাখতে পারবে। ভালো অফ স্পিনও করে।