পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গান্ডাপুরে সন্ত্রাসবাদে উস্কানির অভিযোগে নতুন মামলা হয়েছে। একই অভিযোগে খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডিতে সহিংস বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। দ্য নিউজের বরাতে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
এতে বলা হয়, নিউ টাউন থানায় পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) ধারা ৭ এবং পাকিস্তান দণ্ডবিধির (পিপিপি) প্রাসঙ্গিক ধারাগুলোর অধীনে এফআইআর (প্রাথমিক ডায়েরি) করেছে পুলিশ।
আমির মুঘল, সিমাবিয়া তাহির, এমপিএ আসাদ আব্বাস এবং ইজাজসহ পিটিআই-এর আরও শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও একই মামলা দেওয়া হয়েছে। সিটি, ওয়ারিস খান, নিউ টাউন এবং আরএ বাজার- মোট এই চারটি থানায় এই মামলাগুলো করা হয়েছে।
তদন্তকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভাংচুরে উস্কানির অভিযোগ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ, দাঙ্গা, পেট্রলবোমা দিয়ে সরকারি গাড়িতে হামলাসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং গান্ডাপুরের আরও ৪৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলার এফআইআর-এ বলা হয়েছে, তারা অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে টায়ার জ্বালিয়ে জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খলিল, ইমরান, সাদাকাত, ইয়াসিন এবং তাহিরসহ পাঁচজন সন্দেহভাজনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন তাহিরের কাছ থেকে একটি পেট্রল বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে অগ্নিসন্ত্রাস, খুনের চেষ্টা, ভাঙচুর, সরকারি ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস এবং সরকারি কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।
পিটিআই নেতা ও তার দলের সমর্থকরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে পুলিশকে ঢিল ছুড়েছে এবং লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করেছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক ডায়েরিতে উল্লেখ করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, পিটিআই সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে যাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এফআইআর-এ আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে এবং ফাঁকা গুলি করে, যার ফলে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।