ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গয়েশ্বরের যে প্রতাশা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৪ বার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে এখনও নির্বাচন হয়নি, এখনও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। কাজেই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান করব, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখি।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়া মঞ্চের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়ে।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নয়। এটা আন্দোলনের ফসল। যারা আজকে সরকারে আছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ সবাই অরাজনৈতিক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে গণতন্ত্রের চলার পথকে সুগম করবে। যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের সূচনার জন্য একটা নির্বাচন দেবে সরকার। সেই নির্বাচনে সব মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন পথচলা শুরু হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উপলব্ধি করতে পারবেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে তারেক রহমান দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতিকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আজকে বিএনপির সীমানা অতিক্রম করে জাতির নেতা হতে সক্ষম হয়েছেন।

সুতরাং এই জাতির নেতা বিরুদ্ধে যেসব অন্যায়ভাবে মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সেটা না করা হলে তা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তা হবে ১/১১ যে চক্রান্ত যেটা শেখ হাসিনার আমলা পর্যন্ত ছিল (৫ আগস্ট পর্যন্ত) তারাই ধারাবাহিকতা।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আশা করি, সবার আন্দোলন-সংগ্রামকে আমলে নিয়ে এই সরকারক আমাদেরকে এসব মামলার হাজিরা থেকে রেহাই দেবে। আর যদি এসব মামলায় এখন আমাদেরকে হাজিরা দিতে হয়, তা হবে দুঃখজনক।

হিন্দুদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চলমান বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, এখানে কিছু ঘটনাও আছে। আবার কিছু গুজবও আছে। ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি বসে নাই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেব। সেখানে বিএনপির কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপদেষ্টা মীর শরাফত আলী সফু প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গয়েশ্বরের যে প্রতাশা

আপডেট টাইম : ০৬:০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে এখনও নির্বাচন হয়নি, এখনও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। কাজেই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান করব, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখি।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়া মঞ্চের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়ে।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নয়। এটা আন্দোলনের ফসল। যারা আজকে সরকারে আছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ সবাই অরাজনৈতিক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে গণতন্ত্রের চলার পথকে সুগম করবে। যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের সূচনার জন্য একটা নির্বাচন দেবে সরকার। সেই নির্বাচনে সব মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন পথচলা শুরু হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উপলব্ধি করতে পারবেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে তারেক রহমান দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতিকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আজকে বিএনপির সীমানা অতিক্রম করে জাতির নেতা হতে সক্ষম হয়েছেন।

সুতরাং এই জাতির নেতা বিরুদ্ধে যেসব অন্যায়ভাবে মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সেটা না করা হলে তা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তা হবে ১/১১ যে চক্রান্ত যেটা শেখ হাসিনার আমলা পর্যন্ত ছিল (৫ আগস্ট পর্যন্ত) তারাই ধারাবাহিকতা।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আশা করি, সবার আন্দোলন-সংগ্রামকে আমলে নিয়ে এই সরকারক আমাদেরকে এসব মামলার হাজিরা থেকে রেহাই দেবে। আর যদি এসব মামলায় এখন আমাদেরকে হাজিরা দিতে হয়, তা হবে দুঃখজনক।

হিন্দুদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চলমান বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, এখানে কিছু ঘটনাও আছে। আবার কিছু গুজবও আছে। ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি বসে নাই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেব। সেখানে বিএনপির কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপদেষ্টা মীর শরাফত আলী সফু প্রমুখ।