ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ২ মন্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন কিম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ২৯৪ বার

আবারও আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ক্রোধ, উত্তেজনা আর খামখেয়ালির নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন উত্তর কোরিয়ার এই স্বৈরশাসক। তাই ‘বেয়াদবি’র অভিযোগে এবার অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গানের ডগায় হাত-পা বেঁধে দুই মন্ত্রীকে উড়িয়ে দেওয়ার হুকুম দিলেন তিনি। যেই হুকুম সেই কাজ হলো।

একদা তার দুই অনুগামীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিলেন ৩৪ বছরের কিম। তাদের অপরাধ, তারা কোন একটি বৈঠকে কমিউনিস্ট একনায়ক তথা উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ঠিকঠাক অভিবাদন জানাননি এবং ‘যথেষ্ট সম্মান ও আনুগত্য’ দেখাননি। ‘সন্তোষজনক আনুগত্য’ না দেখানোয় দুই মন্ত্রীই ‘বিদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক’ বলে সন্দেহ দেখা দেয় কিমের মনে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানো হয় দুই বৃদ্ধ মন্ত্রীকে।

তবে মৃত্যুদণ্ডের কায়দাটা একটু অভিনব করা হলো। বিমান বিধ্বংসী বন্দুক বা অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গানের সামনে রেখে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হল একদা বিশ্বস্ত’ দুই কমরেডকে। ২০১১ সালে বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর নিজের হাতে দেশের শাসন ক্ষমতা হাতে তুলে নেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন। সাম্প্রতিক অতীতে পরিবারের সদস্যদের ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে খবরের শিরোনামে আসেন প্রবল বিতর্কিত এই রাষ্ট্রনায়ক। একের পর এক পরমাণু পরীক্ষা, হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা ও দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা চালিয়ে তিনি দুনিয়ার কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন কিম। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২ মন্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন কিম

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আবারও আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ক্রোধ, উত্তেজনা আর খামখেয়ালির নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন উত্তর কোরিয়ার এই স্বৈরশাসক। তাই ‘বেয়াদবি’র অভিযোগে এবার অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গানের ডগায় হাত-পা বেঁধে দুই মন্ত্রীকে উড়িয়ে দেওয়ার হুকুম দিলেন তিনি। যেই হুকুম সেই কাজ হলো।

একদা তার দুই অনুগামীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিলেন ৩৪ বছরের কিম। তাদের অপরাধ, তারা কোন একটি বৈঠকে কমিউনিস্ট একনায়ক তথা উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ঠিকঠাক অভিবাদন জানাননি এবং ‘যথেষ্ট সম্মান ও আনুগত্য’ দেখাননি। ‘সন্তোষজনক আনুগত্য’ না দেখানোয় দুই মন্ত্রীই ‘বিদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক’ বলে সন্দেহ দেখা দেয় কিমের মনে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানো হয় দুই বৃদ্ধ মন্ত্রীকে।

তবে মৃত্যুদণ্ডের কায়দাটা একটু অভিনব করা হলো। বিমান বিধ্বংসী বন্দুক বা অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গানের সামনে রেখে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হল একদা বিশ্বস্ত’ দুই কমরেডকে। ২০১১ সালে বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর নিজের হাতে দেশের শাসন ক্ষমতা হাতে তুলে নেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন। সাম্প্রতিক অতীতে পরিবারের সদস্যদের ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে খবরের শিরোনামে আসেন প্রবল বিতর্কিত এই রাষ্ট্রনায়ক। একের পর এক পরমাণু পরীক্ষা, হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা ও দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা চালিয়ে তিনি দুনিয়ার কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন কিম। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন