ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন আমার অনুমতি ছাড়া এ রকম ভিডিও করা হলো: সাদিয়া আয়মান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৩ বার

বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। তার অনুমতি না নিয়েই এক সাংবাদিক গোপনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

এ ভাইরাল ভিডিওটি অভিনেত্রীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করে তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

শুরুতেই দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের নাম উল্লেখ করে সাদিয়া আয়মান লিখেছেন, আমাদের প্রত্যেক শিল্পীর জন্য এই সংবাদপত্রটি বিশ্বাসের জায়গা এবং ভরসার জায়গা। প্রতিষ্ঠানটির ভবনে আমরা সবাই সেফ ফিল করি। সেখানেই একটি ইন্টারভিউতে গিয়ে আজ আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি।

এ ঘটনা উল্লেখ করে অভিনেত্রী আর লিখেছেন, ওই সংবাদপত্রের একজন কর্মী আমার ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করেছে। যখন আমি মাইক্রোফোন ঠিক করছিলাম। ইন্টারভিউতে রেকর্ড করা প্রফেশনাল ভিডিওর বাইরে একজন শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গোপন ভিডিও ‘স্বজ্ঞানে’ এডিট করে তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে আপলোড করেছে।

একদিন পর সেই ভিডিওটি তার নজরে আসে। এ বিষয়ে সাদিয়া আয়মান বলেন, আমি ভিডিওটি একদিন পরে দেখতে পাই। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করি— কেন আমার অনুমতি ছাড়া এ রকম ভিডিও করা হলো, আর সেটি প্রকাশ করা হলো? জবাবে সে নানা অজুহাত দেখায়। এরপর আমি যখন বলি, অফিসিয়ালি পদক্ষেপ নেব, তখন সে ভিডিওটি ডিলিট করে দেয়।

ভিডিওটি ডিলিট করার পরও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। নানা বাজে ক্যাপশনে বিভিন্ন পেজ থেকে এডিট করে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিজের যে ক্ষতি হয়েছে তার দায়ভার কে নেবে— এমন প্রশ্ন রেখে সাদিয়া বলেন, কাজ করার সময় গোপনে ধারণ করা ভিডিও আপলোড করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে যে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে, যে ক্ষতি হয়েছে, আমার যে মানহানি হয়েছে এর দ্বায়ভার কে নেবে?

এর পর সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আপনাদের কর্মীর কারণেই ক্ষতির শিকার হচ্ছি, আমি চাই আপনারা এর সুষ্ঠু বিচার করুন।

সবশেষ সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, সব সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করব— অন্যায়ের প্রতিবাদে আপনারাও সোচ্চার হন। আপনারাই তো একজন শিল্পীর সম্মান ও তার কাজকে প্রমোট করেন। অনুরোধ রইল– এ বিষয়ে আমাকে কারও ফোন করার প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত এটাই আমার অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট। পরে কোনো আপডেট জানানোর প্রয়োজন হলে আমার পেজেই জানাব। আমি শিল্পী, আমি শিল্পকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই। ধন্যবাদ, আমার সব দর্শককে, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সবসময় পাশে থেকেছেন।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই আরও একটি স্ট্যাটাসে সাদিয়া আয়মান নিশ্চিত করেন, সেই সাংবাদিককে প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কেন আমার অনুমতি ছাড়া এ রকম ভিডিও করা হলো: সাদিয়া আয়মান

আপডেট টাইম : ০৬:১২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। তার অনুমতি না নিয়েই এক সাংবাদিক গোপনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

এ ভাইরাল ভিডিওটি অভিনেত্রীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করে তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

শুরুতেই দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের নাম উল্লেখ করে সাদিয়া আয়মান লিখেছেন, আমাদের প্রত্যেক শিল্পীর জন্য এই সংবাদপত্রটি বিশ্বাসের জায়গা এবং ভরসার জায়গা। প্রতিষ্ঠানটির ভবনে আমরা সবাই সেফ ফিল করি। সেখানেই একটি ইন্টারভিউতে গিয়ে আজ আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি।

এ ঘটনা উল্লেখ করে অভিনেত্রী আর লিখেছেন, ওই সংবাদপত্রের একজন কর্মী আমার ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করেছে। যখন আমি মাইক্রোফোন ঠিক করছিলাম। ইন্টারভিউতে রেকর্ড করা প্রফেশনাল ভিডিওর বাইরে একজন শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গোপন ভিডিও ‘স্বজ্ঞানে’ এডিট করে তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে আপলোড করেছে।

একদিন পর সেই ভিডিওটি তার নজরে আসে। এ বিষয়ে সাদিয়া আয়মান বলেন, আমি ভিডিওটি একদিন পরে দেখতে পাই। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করি— কেন আমার অনুমতি ছাড়া এ রকম ভিডিও করা হলো, আর সেটি প্রকাশ করা হলো? জবাবে সে নানা অজুহাত দেখায়। এরপর আমি যখন বলি, অফিসিয়ালি পদক্ষেপ নেব, তখন সে ভিডিওটি ডিলিট করে দেয়।

ভিডিওটি ডিলিট করার পরও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। নানা বাজে ক্যাপশনে বিভিন্ন পেজ থেকে এডিট করে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিজের যে ক্ষতি হয়েছে তার দায়ভার কে নেবে— এমন প্রশ্ন রেখে সাদিয়া বলেন, কাজ করার সময় গোপনে ধারণ করা ভিডিও আপলোড করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে যে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে, যে ক্ষতি হয়েছে, আমার যে মানহানি হয়েছে এর দ্বায়ভার কে নেবে?

এর পর সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আপনাদের কর্মীর কারণেই ক্ষতির শিকার হচ্ছি, আমি চাই আপনারা এর সুষ্ঠু বিচার করুন।

সবশেষ সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, সব সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করব— অন্যায়ের প্রতিবাদে আপনারাও সোচ্চার হন। আপনারাই তো একজন শিল্পীর সম্মান ও তার কাজকে প্রমোট করেন। অনুরোধ রইল– এ বিষয়ে আমাকে কারও ফোন করার প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত এটাই আমার অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট। পরে কোনো আপডেট জানানোর প্রয়োজন হলে আমার পেজেই জানাব। আমি শিল্পী, আমি শিল্পকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই। ধন্যবাদ, আমার সব দর্শককে, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সবসময় পাশে থেকেছেন।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই আরও একটি স্ট্যাটাসে সাদিয়া আয়মান নিশ্চিত করেন, সেই সাংবাদিককে প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।