ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর বিএনপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬ বার
দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর হয়েছে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। যত বড় নেতাই হোন, তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। পৃথক দুটি ঘটনার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

আলোচিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়িতে চড়ে নিজ এলাকা কক্সবাজারে সংবর্ধনা নেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এস আলমের ১৪টি গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার সহযোগিতার অভিযোগে এক দিন আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে তিন নেতার পদ স্থগিত করা হয়। গত রবিবার রাতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সম্প্রতি এস আলমকে নিয়ে দলের কয়েকজন নেতার কর্মকাণ্ডে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা।

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি এবং সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগসাজশের কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।দলীয় সূত্র জানায়, শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়িতে চড়ে কক্সবাজারে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সংবর্ধনা নিতে যাওয়ার বিষয়ে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তা নিয়ে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাঁর এই কাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছে দলের উচ্চমহল। গত রবিবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলে তারেক রহমান তাঁর অসন্তুষ্টির কথা জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এতটাই কঠোর হয়েছেন যে কে কত বড় নেতা বা তাঁর কতটা ঘনিষ্ঠ, সে বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না তিনি। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সালাহউদ্দিন আহমেদকে শোকজ করার মধ্য দিয়ে তিনি এ কঠোর বার্তা দিয়েছেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নানা অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার এবং পদ স্থগিত করা হয়েছে। শাস্তি দেওয়া নেতাদের বেশির ভাগই হচ্ছেন ঢাকা মহানগর, বগুড়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, পঞ্চগড়, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট ও লক্ষ্মীপুর জেলার। গত কয়েক দিনে দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় আরো কঠোর হয়েছে দল।

এত দিন অপেক্ষাকৃত জুনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এখন জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

চট্টগ্রামের তিন নেতার পদ স্থগিত

এস আলমের গাড়ি সরানোর ঘটনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক এনাম ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম মামুন মিয়ার প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ আরো যাঁদের শাস্তি

বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে পদাবনতি করে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। পুকুর দখলের অভিযোগে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের পদ স্থগিত করা হয়। ফরিদপুরে দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় শামা ওবায়েদের দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহিদুল ইসলাম বাবুলের কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিনের দুঃখ প্রকাশ

এস আলম কম্পানির গাড়িতে চড়ার ঘটনাকে ‘অসাবধানতা ও অনিচ্ছাকৃত’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গতকাল দুপুরে গুলশানে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনা তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গাড়িসংক্রান্ত যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জনমনে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তার পরও এটি একটি পুরনো গাড়ি, আমার ছোট ভাই নিয়ে গেছে। সে খুব আনন্দিত যে তার গাড়িতে আমি উঠেছি। যদি জানতাম যে এটা একটা কম্পানির গাড়ি, তাহলে হয়তো আমি সাবধানতা অবলম্বন করতাম। তার পরও আমার এই অসাবধানতা এবং এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যদি দেশবাসীর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি এবং অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি, সে জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এদিকে বিতর্কিত ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে বৈঠক করায় গত রবিবার শোকজ করা হয়েছে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনকে। চিঠির জবাবে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে কেন্দ্র করে যে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে, সে ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে, তা একান্তই সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার ছাত্রজীবনের রাজনীতি, লড়াইয়ের ইতিহাস এবং জাতীয় রাজনীতিতে আমার ত্যাগ, অবিচলতা, আনুগত্য, শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানের কথা আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মী অবগত।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর বিএনপি

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর হয়েছে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। যত বড় নেতাই হোন, তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। পৃথক দুটি ঘটনার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

আলোচিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়িতে চড়ে নিজ এলাকা কক্সবাজারে সংবর্ধনা নেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এস আলমের ১৪টি গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার সহযোগিতার অভিযোগে এক দিন আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে তিন নেতার পদ স্থগিত করা হয়। গত রবিবার রাতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সম্প্রতি এস আলমকে নিয়ে দলের কয়েকজন নেতার কর্মকাণ্ডে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা।

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি এবং সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগসাজশের কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।দলীয় সূত্র জানায়, শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়িতে চড়ে কক্সবাজারে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সংবর্ধনা নিতে যাওয়ার বিষয়ে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তা নিয়ে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাঁর এই কাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছে দলের উচ্চমহল। গত রবিবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলে তারেক রহমান তাঁর অসন্তুষ্টির কথা জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এতটাই কঠোর হয়েছেন যে কে কত বড় নেতা বা তাঁর কতটা ঘনিষ্ঠ, সে বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না তিনি। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সালাহউদ্দিন আহমেদকে শোকজ করার মধ্য দিয়ে তিনি এ কঠোর বার্তা দিয়েছেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নানা অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার এবং পদ স্থগিত করা হয়েছে। শাস্তি দেওয়া নেতাদের বেশির ভাগই হচ্ছেন ঢাকা মহানগর, বগুড়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, পঞ্চগড়, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট ও লক্ষ্মীপুর জেলার। গত কয়েক দিনে দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় আরো কঠোর হয়েছে দল।

এত দিন অপেক্ষাকৃত জুনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এখন জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

চট্টগ্রামের তিন নেতার পদ স্থগিত

এস আলমের গাড়ি সরানোর ঘটনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক এনাম ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম মামুন মিয়ার প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ আরো যাঁদের শাস্তি

বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে পদাবনতি করে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। পুকুর দখলের অভিযোগে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের পদ স্থগিত করা হয়। ফরিদপুরে দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় শামা ওবায়েদের দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহিদুল ইসলাম বাবুলের কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিনের দুঃখ প্রকাশ

এস আলম কম্পানির গাড়িতে চড়ার ঘটনাকে ‘অসাবধানতা ও অনিচ্ছাকৃত’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গতকাল দুপুরে গুলশানে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনা তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গাড়িসংক্রান্ত যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জনমনে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তার পরও এটি একটি পুরনো গাড়ি, আমার ছোট ভাই নিয়ে গেছে। সে খুব আনন্দিত যে তার গাড়িতে আমি উঠেছি। যদি জানতাম যে এটা একটা কম্পানির গাড়ি, তাহলে হয়তো আমি সাবধানতা অবলম্বন করতাম। তার পরও আমার এই অসাবধানতা এবং এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যদি দেশবাসীর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি এবং অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি, সে জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এদিকে বিতর্কিত ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে বৈঠক করায় গত রবিবার শোকজ করা হয়েছে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনকে। চিঠির জবাবে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে কেন্দ্র করে যে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে, সে ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে, তা একান্তই সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার ছাত্রজীবনের রাজনীতি, লড়াইয়ের ইতিহাস এবং জাতীয় রাজনীতিতে আমার ত্যাগ, অবিচলতা, আনুগত্য, শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানের কথা আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মী অবগত।’