ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ প্রকাশের পরও গুরুত্ব দেয়নি এলজিইডি, ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এখন নদীতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে মিললো বিশাল সুখবর শরতে কাশফুলের রাজ্যে টানা ৪ দিনের ছুটিতে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন যারা শেখ হাসিনার ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এমন দেশ গড়তে চাই, সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা- জ্বালানি সংকট দূর করতে বাপেক্স আরও ১৫০ কূপ খনন করবে: জ্বালানি উপদেষ্টা ইংল্যান্ড আমাদের সঙ্গে ৮০০ করে, বাংলাদেশও হারায়

‘কুইন্টাল কুইন্টাল পানি’ মন্তব্য নিয়ে রচনাকে খোঁচা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৪ বার

টানা বৃষ্টি আর ডিভিসির পানি ছাড়ার জোড়া ফলায় বিদ্ধ হুগলির বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এলাকাবাসী এ তারকা সংসদ সদস্যকে পেয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাগলেন। রীতিমতো নালিশের সুরে তারা জানান— বড় বড় নেতারা কেন জানে না যে, বস্তা দিলে থাকবে না। নিজেরা ইনকাম করেছে, আমাদের জন্য কিছু করেনি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। শেষে দায় ঝেড়ে ফেলতে মমতার সুরেই সুর মেলালেন দিদি নম্বর ১। চাঁদরা মিলনগর, চর খয়রামারিসহ ভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন রচনা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ অভিনেত্রী বলে বসেন— সাধারণ মানুষ এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কুইন্টাল কুইন্টাল পানি বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওরা বলছেন নাকি জানিয়ে পানি ছেড়েছেন। সত্যিটা কী আমাদের এ মুহূর্তে জানা নেই।

এ সংসদ সদস্যের এমন মন্তব্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়েই এবার অভিনেত্রীকে খোঁচা দিলেন শ্রীলেখা মিত্র। নেটমাধ্যমে রচনার বক্তব্য নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মিম। শ্রীলেখা কারুর নাম না করেই শিক্ষা দিলেন দিদি নম্বর ১-কে। তিনি ফেসবুকের দেয়ালে লিখেছেন— এক কুইন্টাল = ১০০ কেজি, এমনি বললাম।

শ্রীলেখার পোস্টের কমেন্ট বক্সে মন্তব্যের বন্যা। এক নেটিজেন লিখেছেন— জলে-ওলে আদর্শ সমীকরণ। অন্যজন লিখেছেন—রচু-নচু সংস্কৃতির জয়। জয় বিশ্ববাংলা। জলের একক কিউসেক, অন্যদিকে কুইন্টাল হলো ভর পরিমাপের একক। কুইন্টাল-কিউসেক নিয়ে ঘেঁটে ঘ রচনা। স্বভাবতই নায়িকার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অনেকেই।

প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী, তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। কলেজে ভর্তি হলেও তা শেষ করেননি। অন্যদিকে শ্রীলেখা মিত্র কিন্তু ইংরাজিতে অনার্স। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএতেও ভর্তি হয়েছিলেন। তবে কাজের চাপে তা শেষ করে উঠতে পারেননি।

অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার খোঁচা দিয়ে লিখেছেন—রাস্তায় লিটার লিটার লোহা পড়ে রয়েছে, কেউ তুলছে ন।

রচনাকে নিয়ে বিদ্রূপ করতে ছাড়েননি বিরোধীরাও। হুগলি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ওকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত। একজন সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন— কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ছে। কুইন্টালে কবে থেকে জ?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সংবাদ প্রকাশের পরও গুরুত্ব দেয়নি এলজিইডি, ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এখন নদীতে

‘কুইন্টাল কুইন্টাল পানি’ মন্তব্য নিয়ে রচনাকে খোঁচা

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা বৃষ্টি আর ডিভিসির পানি ছাড়ার জোড়া ফলায় বিদ্ধ হুগলির বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এলাকাবাসী এ তারকা সংসদ সদস্যকে পেয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাগলেন। রীতিমতো নালিশের সুরে তারা জানান— বড় বড় নেতারা কেন জানে না যে, বস্তা দিলে থাকবে না। নিজেরা ইনকাম করেছে, আমাদের জন্য কিছু করেনি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। শেষে দায় ঝেড়ে ফেলতে মমতার সুরেই সুর মেলালেন দিদি নম্বর ১। চাঁদরা মিলনগর, চর খয়রামারিসহ ভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন রচনা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ অভিনেত্রী বলে বসেন— সাধারণ মানুষ এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কুইন্টাল কুইন্টাল পানি বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওরা বলছেন নাকি জানিয়ে পানি ছেড়েছেন। সত্যিটা কী আমাদের এ মুহূর্তে জানা নেই।

এ সংসদ সদস্যের এমন মন্তব্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়েই এবার অভিনেত্রীকে খোঁচা দিলেন শ্রীলেখা মিত্র। নেটমাধ্যমে রচনার বক্তব্য নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মিম। শ্রীলেখা কারুর নাম না করেই শিক্ষা দিলেন দিদি নম্বর ১-কে। তিনি ফেসবুকের দেয়ালে লিখেছেন— এক কুইন্টাল = ১০০ কেজি, এমনি বললাম।

শ্রীলেখার পোস্টের কমেন্ট বক্সে মন্তব্যের বন্যা। এক নেটিজেন লিখেছেন— জলে-ওলে আদর্শ সমীকরণ। অন্যজন লিখেছেন—রচু-নচু সংস্কৃতির জয়। জয় বিশ্ববাংলা। জলের একক কিউসেক, অন্যদিকে কুইন্টাল হলো ভর পরিমাপের একক। কুইন্টাল-কিউসেক নিয়ে ঘেঁটে ঘ রচনা। স্বভাবতই নায়িকার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অনেকেই।

প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী, তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। কলেজে ভর্তি হলেও তা শেষ করেননি। অন্যদিকে শ্রীলেখা মিত্র কিন্তু ইংরাজিতে অনার্স। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএতেও ভর্তি হয়েছিলেন। তবে কাজের চাপে তা শেষ করে উঠতে পারেননি।

অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার খোঁচা দিয়ে লিখেছেন—রাস্তায় লিটার লিটার লোহা পড়ে রয়েছে, কেউ তুলছে ন।

রচনাকে নিয়ে বিদ্রূপ করতে ছাড়েননি বিরোধীরাও। হুগলি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ওকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত। একজন সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন— কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ছে। কুইন্টালে কবে থেকে জ?