এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই পর্বে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ-গুয়াম। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট। মঈনুল ইসলাম মঈনের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে যোগ করে সময়ে বাংলাদেশকে বাকরুদ্ধ করে দেন গুয়ামের ফরোয়ার্ড কার্টিস হারমোন।
এতে জয় নয়, ২-২ গোলের সমতায় মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। গুয়ামের বিপক্ষে আজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে নামার আগে এমনটিই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আশরাফুল হক আসিফ।
তবে আসিফের চাওয়া পূর্ণতা পায়নি।
ম্যাচে দুইবার এগিয়ে গিয়েও ড্রয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের কোচ মারিফুল হকের দলকে। ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম। তার গোলেই ৭৪ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচে এগিয়ে ছিল। তবে ৭৫ মিনিটে গুয়াম সমতায় ফিরে।
গোলটি করেন সুনতারো সুজুকি। গোলটিতে অবশ্য বাংলাদেশের অবদান রয়েছে। পেনাল্টি থেকে যে গোলটা করেন প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার।গোল হজমের পর ম্যাচে এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন আসিফ-মিরাজুলরা। তার ফলও পান ৮৮ মিনিটে।
বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধান এনে দেন মঈন। তবে লিডটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি মারিফুল হকের শিষ্যরা। ছোট-বড় যে পর্যায়ের ম্যাচই হোক না কেন বাংলাদেশের কপাল পুড়েছে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার পুরনো রোগে।নির্ধারিত সময় শেষ হলে ৪ মিনিট বাড়তি দেন রেফারি। কোনোভাবে এই সময়টুকু পেরিয়ে যেতে পারলেই গ্রুপ ‘এ’ তে প্রথম জয়ের দেখা পেত বাংলাদেশ। তবে সেটা আর হয়নি। যোগ করা সময়ের ৯১ মিনিটে গোল করে বাংলাদেশ স্তব্ধ করে দেন গুয়ামের ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড হারমোন।
এর আগের ভিয়েতনামে হার দিয়ে যুব পর্যায়ের বাছাই পর্ব শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ।