চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। স্টুটগার্টের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলের জয় পেলেও মন ভরাতে পারেনি রিয়াল ফুটবলাররা। একই দিনে প্রতিপক্ষ এসি মিলানের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে আসর শুরু করেছে লিভারপুল।
রিয়াল মাদ্রিদ-স্টুটাগর্ট (৩-১)
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে ম্যাচ হলেও এদিন রিয়ালকে বেশ ধুকতে হয়েছে জার্মান ক্লাব স্টুটগার্টের বিপক্ষে। এদিন রিয়ালকে ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোলই করতে দেয়নি স্টুটগার্ট।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য রিয়ালকে আটকে রাখতে পারেনি স্টুটগার্ট। মাঠে ফিরেই দলকে লিড এনে দেন চলতি মৌসুমে রিয়ালের জার্সি গায়ে জড়ানো কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৪৬ মিনিটে তার গোলেই লিড পায় রিয়াল। এই গোলের পর ম্যাচের ৬৮ মিনিটে স্টুটগার্টকে সমতায় ফেরান ডেনিজ আনডাভ। তাবে বেশ বিপদেই পড়ে যায় রিয়াল।
পরে সেই বিপদ এড়ান অ্যান্তিনিও রুডিগার। লোকা মদ্রিচের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে দলকে সাফল্য এনে দেন তিনি। এই গোলের পর ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ গোলে ব্যবধান ৩-১ করেন এনদ্রিক। ব্রাজিলিয়ান এই তরুণ তরকার গোলে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।
এসি মিলান-লিভারপুল (১-৩)
এসি মিলানের মাঠে লিভারপুলের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ম্যাচের তিন মিনিট না যেতেই গোল হজম করে বসেছিল দলটি। পরে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দলটি।
সান সিরোতে এদিন ৩ মিনিটের মাথায় পুলিসিকের গোলে ম্যাচে লিড নেয় এসি মিলান। তবে সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি দলটি। প্রথমার্ধেই গোল শোধ দিয়ে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের বিরতিতে যায় দলটি। ২৩ মিনিটে কন্তের গোলে সমতায় ফেরার পর ৪১ মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন ফন ডাইক।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে কোডি গাকপোর সহায়তায় গোল করেন সোবোসলাই। তাতে ব্যবধান ১-৩ হয়। এই গোলের পর আর গোল না হলে জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।