মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গত সোমবার একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর এই প্রথম বাইডেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণায় নামলেন কমলা। ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ার ভোটারদের আকর্ষণ করতে পিটসবার্গে শ্রমিক সংঘের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এই জুটি। এর আগে প্রায় ৬০০ সমর্থকের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তাঁরা।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে বিভিন্ন জনমত জরিপে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এবিসি নিউজ চ্যানেলে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেওয়ার কথা এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমরা অনেক অগ্রগতি করেছি এবং কমলা ও আমি এর ওপর ভিত্তি করে আরো অগ্রগতি করব। আর কমলা এটিকে আরো সামনে এগিয়ে নেবেন।
আমি সাইডলাইনে থাকব, তবে সহযোগিতার জন্য যা করা দরকার, আমি করব।’ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর শুরুর দিকে লড়াই থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বাইডেন। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন তিনি। আর নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন কেমন ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন, গত সোমবারের প্রচারণা থেকে এর ইঙ্গিত মিলেছে।
৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, ‘এই সময়ে আপনাদের যুক্তিসংগত পছন্দের প্রার্থী শুধু একজনই—তিনি হলেন কমলা হ্যারিস। আমি তাঁকে চিনি, বিশ্বাস করি। তাঁর মেরুদণ্ড লোহার মতো শক্ত এবং বোঝার ক্ষমতা সাধুর মতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই নারী (কমলা) যা করেন, জেনেশুনেই করেন। আমি আশ্বস্ত করছি—যদি কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন, তাহলে এটিই হবে আপনার সবেচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত।
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘জো বাইডেন আমাদের দেখা সবচেয়ে রূপান্তকারী প্রেসিডেন্টদের একজন এবং তিনি অন্তর থেকেই এটা করেন। সত্যি বলতে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে শ্রমিকবান্ধব প্রশাসন হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি এবং বিষয়টি নিয়ে বাইডেন ও আমি প্রায়ই আলাপ করি।’
সূত্র : এএফপি