ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটার পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সময়কাল চূড়ান্ত না হলেও এই সরকারের সামনে এখন পাহাড়সম কাজ। শিক্ষার্থীদের সফল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সাধারণ মানুষের মধ্যে এক নতুন আশাবাদের জন্ম দিয়েছে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাজমান চরম অস্থিরতা কাটিয়ে গণমানুষের সেই স্বপ্নপূরণের পথরেখা তৈরি করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সেই লক্ষ্য অর্জনে রাষ্ট্র ও সমাজকে কলুষমুক্ত করতে নিতে হবে নানামুখী পদক্ষেপ। কর্তৃত্ববাদী শাসনে ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্নির্মাণে নিতে হবে সর্বাত্মক সংস্কারের উদ্যোগ। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ পাচার ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা এই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুনর্গঠন, বিধ্বস্ত অবকাঠামো সংস্কার, চলমান মেগা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ এবং ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি গতিশীল করার দায়িত্বও কাঁধে চেপেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। সেইসঙ্গে আছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরানোর তাগিদ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার পর প্রতিটি সরকারের আমলেই শাসনব্যবস্থায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এসব কিছুর প্রভাবে জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকহারে বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি। বিনিয়োগ না হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়নি। এর বিপরীতে ভিন্নমত দমনে চলেছে সীমাহীন নিপীড়ন। এসব কারণে বছরের পর বছর ধরে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু মানুষের দুঃখ ও বঞ্চনা ঘোচাতে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার উল্টো বল প্রয়োগের স্বৈরতান্ত্রিক পথ বেছে নিয়েছে। আন্দোলন দমন করতে চালানো হয়েছে নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব জাগরণে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতা নয়, দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে সারা দেশে পুলিশ সদস্যরা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন। কারণ, আন্দোলন দমনে তাদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে চার শতাধিক মানুষ। গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকে। এ কারণে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ মানুষের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এর প্রভাবে দেশজুড়ে পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেই সুযোগে বিভিন্ন স্থনে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত আতঙ্কসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় পুলিশসহ দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন কালবেলাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, সাধারণ মানুষের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ বোধ করছেন না। এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে সরকার এসব বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। সরকারের এ ধরনের মনোভাব পরিবর্তন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরেও সংস্কার আসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে।’
এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটা ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে দেশে এবং এটাই স্বাভাবিক। কারণ, ১৫ বা ১৭ বছর একটা স্বৈরাচারী শাসন ছিল। একটা অন্ধকার যুগ ছিল, মানুষের মনে অনেক যন্ত্রণা জমে ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু তারপরও সেটা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। যেটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক পুলিশ সদস্য, অনেক সংখ্যালঘু মানুষের আর্তনাদ শুনেছি। অনেক স্টোরি আছে, যা আমি নিজে শুনেছি। এটা কোনোভাবে প্রত্যাশিত নয়। আমাদের ক্রোধ সংবরণ করতে হবে। আইনগতভাবে যারা দোষী, তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতোই প্রশাসনের সর্বস্তরে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, গত ১৫ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রকেই চরম দলীয়করণ করা হয়েছে। পদোন্নতি এবং পদায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগত্যার চেয়ে দলীয় আনুগত্য এবং চাটুকারিতা প্রাধান্য পেয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দলীয়করণের অভিযোগ রয়েছে। ফলে সরকারি কাজে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারি মনোভাব ফিরিয়ে আনতে নতুন সরকারকে ব্যাপক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কার কার্যক্রম শুধু প্রশাসনে সীমিত রাখলেই চলবে না, সামগ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ই তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। কারণ, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিগত দিনে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানকেই এখন কমবেশি সংস্কার করতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আর্থিক খাতের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠান যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেভাবে সংস্কার করতে হবে। সেইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা গেলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি রোধে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, ‘আশা করি, এই সরকার দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য তাদের তৈরি করা রোডম্যাপ দ্রুতই মানুষের সামনে নিয়ে আসতে হবে। পুরোটা না হলেও অন্তত আউটলাইনটা দ্রুতই প্রকাশ করতে হবে।’
নতুন সরকারের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিতে গতি ফেরানো। মহামারি করোনার প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ ঘিরে বৈশ্বিক সংকট এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শাসনামলে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রভাবে দেশের অর্থনীতি অনেকদিন ধরেই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জ্বালানি, খাদ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ সব ধরনের পণ্যের আমদানিব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার দ্রুত অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, বিনিয়োগে ধীরগতি, জ্বালানি ও বিদ্যুতে অস্বস্তি, সরকারের ব্যাংক ঋণ বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের নিম্নগতি এবং আর্থিক খাতে সুশাসনের ঘাটতি মিলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে অর্থনীতি। সেইসঙ্গে উচ্চহারে মূল্যস্ফীতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষের জন্য এখন অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার কত দ্রুত অর্থনীতিকে গতিশীল করতে পারে, সামাজিক স্থিতিশীলতার বিষয়টিও এর ওপর অনেকটা নির্ভর করছে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ কালবেলাকে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে রয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, আর্থিক খাতের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে। এজন্য অর্থনৈতিক বেশকিছু কারণ থাকলেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার। দেশের ব্যাংকিং খাত ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী, মানুষ তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা দেখতে চায়। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত কয়েক সপ্তাহে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে রফতানিমুখী শিল্প ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হওয়ায় এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সমস্যার মুখে পড়েছে বাংলাদেশি পণ্য। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নতুন সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রেও সংকটে পড়তে হতে পারে নতুন সরকারকে। কারণ গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বেহিসাবী ব্যয় করলেও রাজস্ব আয় খুব একটা বাড়াতে পারেনি। আবার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাত থেকেও নেওয়া হয়েছে বড় অঙ্কের ঋণ। এরই মধ্যে জাতীয় বাজেটের ওপর এসব ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও নতুন সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রয়েছে। বিআরটিএ, সেতু ভবনসহ অনেক দপ্তরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নতুন সরকারকে এসব অবকাঠামো সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হলেও বিগত সরকারের আমলে শুরু হওয়া মেগাপ্রকল্পসহ অনেক অবকাঠামোর কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। এসব কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্বও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর পড়েছে। সেইসঙ্গে এ ধরনের প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতি ও অনিয়ম চিহ্নিত করে দায়ীদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া—এমনটাই সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে।
আবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিরা প্রশ্নবিদ্ধ ও একতরফা ভোটে নির্বাচিত। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। শুধু ভোটে জালিয়াতি নয়, এদের বেশিরভাগই নানা দুর্নীতি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। ফলে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এদের দায়িত্বে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় আইনি কাঠামোর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্বে দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। গত ১৫ বছরে দেশে প্রকৃত অর্থে অশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো নির্বাচন হয়নি। ফলে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আগে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফেরাতে হবে। সেজন্য রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন ব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে।
এসব বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোটাই ভেঙে পড়েছে। পুলিশসহ অন্য বিভাগগুলো গড়তে কাজ করতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়ছে। এগুলো গড়ে তুলতে অবশ্যই সময় প্রয়োজন। রাজনৈতিক সরকারের হাতে এসব কাজ ছেড়ে দিলে কোনোটাই বাস্তবায়িত হবে না। তাই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে এ মুহূর্তে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প নেই।’