বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন জয়শঙ্কর নিজেই।
তিনি বলেছেন, “আজ যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। বাংলাদেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত সোমবার পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় তিনি ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেন। জানা গিয়েছিল, দিল্লি থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাবেন হাসিনা। যদিও এখনো এটি সম্ভব হয়নি। কারণ যুক্তরাজ্য শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অপরাগতা জানিয়েছে।
এরমধ্যেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা হলো।
যুক্তরাজ্য ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা হাসিনাকে আশ্রয় দেবে না কারণ তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে সহিংস পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ রয়েছে।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, “গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং মানুষের প্রাণহানি দেখেছে। এসব সহিংসতা এবং প্রাণহানি জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের আইনে অন্য কোনো দেশ থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বিধান নেই। এছাড়া দেশটি আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি একটি একটি করে খতিয়ে দেখে।
একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড যুক্তরাজ্যের রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এসে এরপর আশ্রয় চাইবেন এমন কোনো আইন তাদের নেই। এর বদলে হাসিনা যেহেতু আগে ভারতে গেছেন তাই তাকে সেখানেই আশ্রয় চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, কাতার, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ডে আশ্রয় খুঁজছেন।