প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। বর্তমানে তারা দিল্লিতে আছেন। সেখান থেকে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশজুড়ে মাসব্যাপী ব্যাপক ও মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর বাংলাদেশ থেকে আসা ৭৬ বছর বয়সী হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। হাসিনার বোন রেহানার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে, তিনিও নেতার সঙ্গে রয়েছেন।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাজ্য থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে সাময়িকভাবে ভারতে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নয়াদিল্লি।
সোমবার দুপুরের দিকে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি আগরতলায় বিএসএফের একটা হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। তারপর সেখান থেকে দিল্লি যান।
ইন্ডিয়া টুডের এক খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির কাছের গাজিয়াবাদে (উত্তর প্রদেশ) ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিন্দন বিমানঘাঁটিতে দেশটির স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করেন। ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা তাকে স্বাগত জানান।
এদিকে দেশ ছাড়ার পর শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে বিবিসির মুখোমুখি হয়েছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বিবিসিকে জানান, মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এতটাই হতাশ- তার কঠোর পরিশ্রমের পরও কিছু লোক তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছেন। যার জন্য তার আর রাজনীতে ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই।
সজীব ওয়াজেদ জয় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। রোববার তার মা পদত্যাগ করার কথা ভেবেছিলেন বলেও জানান তিনি।