বাংলাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি মানুষের জীবনের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখার বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য জরুরিভিত্তিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভলকার তুর্ক বলেছেন, সপ্তাহান্তে আরও অনেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জে পুলিশ স্টেশনে হামলার সময় কমপক্ষে ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ ঢাকায় ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের যুব শাখাকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নামার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তুর্ক বলেন, এতে আরও প্রাণহানি হবে, আরও ক্ষয়ক্ষতি হবে- এ জন্য আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, যারা সিনিয়র আছেন এবং যারা কমান্ড দেওয়ার জন্য দায়ী তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটা অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে যে, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোনো দায়মুক্তি দেওয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদেরকে টার্গেট করা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে সরকারকে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, যাদেরকে খেয়ালখুশিমতো আটক করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোদমে চালু করতে হবে। অর্থপূর্ণ সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
ভলকার তুর্ক আরও বলেন, অতিরিক্ত বল প্রয়োগ, ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়াসহ জনপ্রিয় এই ভিন্নমতকে দমন করার অব্যাহত প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।