বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে, শুধু কারফিউ শিথিল থাকাবস্থায় ট্রেন চলাচল করবে। এতে করে লম্বা দূরত্বে ট্রেন চালানোর সুযোগ নেই। শুধু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) রেল ভবনের আয়োজিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে আপাতত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এলাকাগুলো হলো—ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-জয়দেবপুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুরের মতো কাছাকাছি দূরত্বে ট্রেন চলাচল করবে। একইভাবে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ট্রেন যাতায়াত চালু থাকবে, তবে সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। আন্তঃনগর ট্রেনের বিষয়ে আরও দুই-এক দিন পরে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারফিউ চলাকালে, অর্থাৎ রাতে যাত্রীবাহী কোনও ট্রেন চলবে না। তবে তেলবাহী, পণ্যবাহী ট্রেনগুলো বিশেষ নিরাপত্তায় চলাচল অব্যাহত থাকবে।
রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার আলম রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বে লোকাল, কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে।
ইফতেখার আলম আরও বলেন, এখনই আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না। কারফিউয়ের কারণে আন্তঃনগর সময়মতো চলাচল করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এর আগে, টানা সাত দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে যাত্রী নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তা আবারও বাতিল করা হয়। এদিন ট্রেন চলাচলের খবরে স্টেশনে আসা যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওই দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ (গত বৃহস্পতিবার) থেকে ঢাকার পাশে স্বল্প দূরত্ব এলাকায় ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। এই এলাকাগুলো ছিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-জয়দেবপুর। কিন্তু পরে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। আজও কমলাপুর থেকে কোথাও ট্রেন চলাচল করবে না।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে গত ১৯ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। পরে ২৫ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে। যদিও নিরাপত্তা বিবেচনায় ওই ট্রেন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।