গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল বাহিনী। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত এবং বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে ইসরাইলের এই নৃশংস হামলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। ইসরায়েল জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও হামালা চালিয়েছে। সেখানে অনেক বাস্তুচ্যুত লোকজন আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা ছিল খান ইউনিসের আল-মাওয়াসির মানবিক অঞ্চলে।
মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও হামলা চালানো হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনার প্রতিবেদন খতিয়ে দেখছে।
ইসরাইলি বাহিনীর আরও দাবি, হামাসের সামরিক শাখার নেতৃত্বের অর্ধেক সদস্য নিহত হয়েছে এবং গাজায় ৯ মাসের ইসরাইলি বিমান হামলা এবং স্থল অভিযানে প্রায় ১৪ হাজার অস্ত্রধারী নিহত বা আটক হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। এই ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা হামলায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩৮ হাজার ৭১০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা রয়েছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলের এই হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এই অঞ্চলে খাদ্য, পানি এবং ওষুধের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।