বছরের শুরু থেকেই আম্বানি বাড়ির বিয়ে নিয়ে চলছে চর্চা। বংশের ছোট ছেলের বিয়ে নিয়ে প্রবল উত্তেজনা ভারতের সবচেয়ে বিত্তশালী পরিবারের। প্রথমে জামনগর, পরে ইউরোপে। এরপর জুলাই মাসের শুরু থেকে একটানা চলতে থাকা প্রিওয়েডিং।
শুক্রবারই চার হাত এক হয়। একাধিক হাইপ্রোফাইল অতিথি এসেছেন মুম্বাইতে। জিও সেন্টারে বসে বিয়ের আসর। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, ঠাকরে পরিবার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিসরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী ছিল আম্বানি বাড়ির বিয়ের মেন্যুতে।
আম্বানিদের বিয়ের রাজকীয় আয়োজনের মতো, বিয়ের খাবারও যাতে কেউ কখনো ভুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মুকেশ আম্বানি। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫০০-রও বেশি খাবার ছিল। নীতা আম্বানির আয়োজনে থাকছে কাশীর বিভিন্ন ধরনের চাট। স্ট্রিট ফুড, যা আট থেকে আশি সবারই প্রিয়, তাকেই বিয়ের খাবারে শামিল করেছেন তারা।
গত মাসে নীতা আম্বানি বিখ্যাত কাশী চাট ভাণ্ডারে গিয়েছিলেন এবং তাদের কিছু বিখ্যাত চাট চেখে দেখেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘টমেটোর কী চাট’।
এএনআই শেয়ার করেছে— মেন্যুতে ছিল পানি পুরি, দহি ভাল্লা, ভল্লা পাপড়ি, মিক্স চাট, দহি পুরি, চুরা মটর, পাপড়ি চাট, সিঙাড়া, গুলাব জামুন, টিক্কি আর ছানা কচুরি।
খবর অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি আন্তর্জাতিক অতিথিদের জন্য ইন্দোনেশিয়ার একটি ক্যাটারিং কোম্পানির পরিষেবা নিয়েছেন। মেন্যুতে নারিকেল থেকে তৈরি ১০০টিরও বেশি খাবার রয়েছে। মেন্যুতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তি হলো মাদ্রাজের বিখ্যাত ফিল্টার কফি।
২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়েছিল অনন্ত-রাধিকার বিয়ের তোড়জোড়। প্রথমে জামনগরে আর পরে ইতালিতে বিলাসবহুল ক্রুজ ভাড়া করে আয়োজন করা হয়েছিল প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানের। কনিষ্ঠ পুত্রের বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন মুকেশ।