ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভের কাছে এই সহায়তা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ন্যাটো সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। খবর রয়টার্সের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এই সংকটময় সময়ে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও জোরালো ভূমিকা রাখছে ন্যাটো। এই যুদ্ধে রাশিয়া নয়, বরং ইউক্রেনই বিজয়ী হবে।
এদিন ন্যাটোর এক যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেনকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটিকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি, প্যাট্রিয়টের উপাদানসহ পাঁচটি অতিরিক্ত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করবে পশ্চিমা এই সামরিক জোট।
এদিকে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। অনেক ক্ষেত্রেই পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তা নিয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন ইউক্রেনীয় সেনারা।
অন্যদিকে, প্রায় আড়াই বছরেও নিজেদের লক্ষ্যের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি মস্কো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবারের যৌথ বিবৃতিতে পাঁচটির কথা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে আগামী মাসগুলোতে কিয়েভকে কয়েক ডজন কৌশলগত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করতে চায় পশ্চিমা দেশগুলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ইউক্রেনকে অতিরিক্ত কৌশলগত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিতে যাচ্ছি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও রোমানিয়ার অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি; প্যাট্রিয়ট ব্যাটারিকে অপারেশনে সক্ষম করে তোলার জন্য নেদারল্যান্ডস ও অন্যান্য অংশীদারের দেওয়া প্যাট্রিয়ট উপাদান এবং ইতালির দেওয়া একটি অতিরিক্ত এসএএমপি সিস্টেম রয়েছে।’
রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেন সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। ২০২২ সাল থেকে দেশটিকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।