ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাকিবের উইন্ডিজ সিরিজে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মন্তব্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রজনতার সংগ্রামের ফল: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি

গাজায় নিহতের বিষয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য দিল ল্যানসেট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • ৩৩ বার

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চলমান অভিযানে গত ৯ মাসে ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেটের মতে, এই সংখ্যা আরও বেশি, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার।

সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাপ্তরিকভাবে ৩৮ হাজারের অধিক নিহতের সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর গোলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া এবং গাজায় গত ৯ মাসে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতদের হিসাবে ধরা হয়নি। যদি এদেরকে ধরে নিয়ে হিসাব করা হয়, তাহলে মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখে পৌঁছাবে।

ল্যানসেটের প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। ফলে যারা সরাসরি গুলি বা গোলার আঘাতে নিহত হন, তাদের তুলনায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতের সংখ্যা বেশি থাকে। গাজায় গত ৯ মাসে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে যদি যুদ্ধ বন্ধও হয়, তাহলেও আরও বেশ কিছুদিন গাজায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকবে।

প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, আধুনিক যুগের যুদ্ধ-সংঘাতে গুলি বা গোলার আঘাতে যত মানুষ সরাসরি নিহত হন, পরোক্ষভাবে নিহত হন তারচেয়ে তিনগুণ বা ১৫ গুণ বেশি মানুষ। একটি সাধারণ স্বীকৃত সিদ্ধান্ত হলো— প্রতি একজন সরাসরি নিহতের সঙ্গে পরোক্ষ নিহতের সংখ্যা থাকে অন্তত চারজন। আমরা এই হিসাবই এখানে প্রয়োগ করেছি।

ল্যানসেটের তথ্যমতে, গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ এবং ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা হিসেবে ধরলে বলা যায়, গত ৯ মাসে গাজায় মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ প্রাণ হারিয়েছে। যুদ্ধের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এবং বিবদমান পক্ষগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানা জরুরি। আইনগত দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ, ল্যানসেট জানিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিবের উইন্ডিজ সিরিজে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

গাজায় নিহতের বিষয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য দিল ল্যানসেট

আপডেট টাইম : ১১:২১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চলমান অভিযানে গত ৯ মাসে ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেটের মতে, এই সংখ্যা আরও বেশি, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার।

সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাপ্তরিকভাবে ৩৮ হাজারের অধিক নিহতের সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর গোলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া এবং গাজায় গত ৯ মাসে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতদের হিসাবে ধরা হয়নি। যদি এদেরকে ধরে নিয়ে হিসাব করা হয়, তাহলে মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখে পৌঁছাবে।

ল্যানসেটের প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। ফলে যারা সরাসরি গুলি বা গোলার আঘাতে নিহত হন, তাদের তুলনায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতের সংখ্যা বেশি থাকে। গাজায় গত ৯ মাসে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে যদি যুদ্ধ বন্ধও হয়, তাহলেও আরও বেশ কিছুদিন গাজায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকবে।

প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, আধুনিক যুগের যুদ্ধ-সংঘাতে গুলি বা গোলার আঘাতে যত মানুষ সরাসরি নিহত হন, পরোক্ষভাবে নিহত হন তারচেয়ে তিনগুণ বা ১৫ গুণ বেশি মানুষ। একটি সাধারণ স্বীকৃত সিদ্ধান্ত হলো— প্রতি একজন সরাসরি নিহতের সঙ্গে পরোক্ষ নিহতের সংখ্যা থাকে অন্তত চারজন। আমরা এই হিসাবই এখানে প্রয়োগ করেছি।

ল্যানসেটের তথ্যমতে, গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ এবং ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা হিসেবে ধরলে বলা যায়, গত ৯ মাসে গাজায় মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ প্রাণ হারিয়েছে। যুদ্ধের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এবং বিবদমান পক্ষগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানা জরুরি। আইনগত দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ, ল্যানসেট জানিয়েছে।