যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত করেছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। ভরাডুবি হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির। সুনাক পরাজয় মেনে নিয়ে স্টারমারকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২০১০ সালের পর আবারও ডাউনিং স্ট্রিটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী আসতে চলেছেন।
১৯৬২ সালে লন্ডনের অক্সটেডে স্টারমারের জন্ম। পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে স্টারমার বেড়ে উঠেন দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের সারে-তে। তাকে শ্রমজীবী শ্রেণির সঙ্গে জীবনের যোগের কথা প্রায়শই বলতে শোনা যায়। তার বাবা একটা কারখানার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হিসেবে কাজ করতেন এবং মা ছিলেন নার্স। এই রাজনীতিবিদ নিরামিষভোজী। তিনি ২০০৭ সালে ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এতদিন নিজেকে অনেকটা অন্তরালেই রেখেছেন ভিক্টোরিয়া। শুধু লেবার পার্টির কিছু কনফারেন্স ও টেইলর সুইফটের কনসার্টের মতো জায়গায় অল্প কয়েকবার তাকে দেখা গেছে।
স্টারমার জানিয়েছেন, তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে চাকরি করেন। আর তাদের বড় সন্তান সেকেন্ডারি এডুকেশন পর্যায়ে পড়াশোনা করছে।
স্টারমার ও ভিক্টোরিয়ার পরিচয় ২০০০ সালের শুরুর দিকে। তখন স্টারমার ছিলেন আইনজীবী (ব্যারিস্টার)। তারা দুজন একই মামলায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করছিলেন। মামলা লড়তে গিয়েই ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে স্টারমারের পরিচয়। পরিচয়ের কয়েকমাস পরই গ্রিসে অবসর যাপনের সময় ভিক্টোরিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্টারমার। ২০০৭ সালে বিয়ের পর তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান।
ভিক্টোরিয়া বেড়ে উঠেছেন নর্থ লন্ডনে। তিনি কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে পড়াকালীন তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন।
গত মে মাসে টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টারমার জানান, তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করলেও তার স্ত্রী ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে চাকরি করে যাবেন।