ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যে নির্বাচন আজ, ভরাডুবির শঙ্কায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ৩১ বার

যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি।তবে নির্বাচনে ভরাডুবির শঙ্কায় রয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি। আর রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। এমনটাই মনে করছেনি নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালান। শেষ দিনের প্রচারণায় তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুজনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায় তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

সারভেশনের নির্বাচন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪৮৪টিতে জয় পাবে লেবার পার্টি। যা ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির ৪১৮টি আসনে জয়ের চেয়েও বেশি। সেই সময় ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আসনে জয়ের অন্যান্য কীর্তি গড়েছিল লেবার পার্টি।

অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬৪টি আসনে জয় পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যদি এই ধারণা সঠিক হয় তাহলে ১৮৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কনজারভেটিভ পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসন পাবে।

অন্যান্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সংস্থাগুলো বলছে লেবার কম ব্যবধানেই জিতবে। তবে কনজারভেটিভরা আবারও জয় পাবে এমন কিছু বলেনি কেউই।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঋষি সুনাক।

এ নির্বাচনে আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরও। তাদের অনেকেই লেবার পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ স্বতন্ত্রও লড়ছেন। লেবার পার্টির টিকিটে যারা লড়ছেন, তাদের মধ্যে রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আফসানা বেগম উল্লেখযোগ্য। নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতলে তাদের কেউ কেউ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।

রক্ষণশীল দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে ভোটে লড়ছেন দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাজ্যে নির্বাচন আজ, ভরাডুবির শঙ্কায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি।তবে নির্বাচনে ভরাডুবির শঙ্কায় রয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি। আর রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। এমনটাই মনে করছেনি নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালান। শেষ দিনের প্রচারণায় তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুজনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায় তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

সারভেশনের নির্বাচন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪৮৪টিতে জয় পাবে লেবার পার্টি। যা ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির ৪১৮টি আসনে জয়ের চেয়েও বেশি। সেই সময় ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আসনে জয়ের অন্যান্য কীর্তি গড়েছিল লেবার পার্টি।

অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬৪টি আসনে জয় পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যদি এই ধারণা সঠিক হয় তাহলে ১৮৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কনজারভেটিভ পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসন পাবে।

অন্যান্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সংস্থাগুলো বলছে লেবার কম ব্যবধানেই জিতবে। তবে কনজারভেটিভরা আবারও জয় পাবে এমন কিছু বলেনি কেউই।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঋষি সুনাক।

এ নির্বাচনে আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরও। তাদের অনেকেই লেবার পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ স্বতন্ত্রও লড়ছেন। লেবার পার্টির টিকিটে যারা লড়ছেন, তাদের মধ্যে রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আফসানা বেগম উল্লেখযোগ্য। নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতলে তাদের কেউ কেউ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।

রক্ষণশীল দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে ভোটে লড়ছেন দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।