ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের হামলায় আরও ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন একই পরিবারের সদস্য। এ নিয়ে প্রায় ৯ মাস ধরে ইসরাইলের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৯২৫ জনে।
মঙ্গলবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় নতুন করে আরও ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি পরিবারের ৯ জন সদস্য রয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলের নজিরবিহীন এক হামলা চালায়। হামাসের যোদ্ধাদের আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয় ও তারা ২৫৩ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরাইলের।
অক্টোবরের ওই দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক ও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। তারা হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার প্রত্যয় জানায়। সবদিক থেকে গাজা অবরোধ করে ভূখণ্ডটির বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
তারপর থেকে গত প্রায় নয় মাস ধরে ইসরাইলির বাহিনীর স্থল, আকাশ ও নৌ হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার অধিকাংশ বাসিন্দার প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
বুধবার পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৭৯২৫ জন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ৯ মাস ধরে চলা অবিরাম হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৭ হাজার জনেরও বেশি।
জাতিসংঘ অনুমান করেছে আড়াই লাখের মতো ফিলিস্তিনি ইসরাইলের সামরিক আদেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে যাতে লোকেরা দক্ষিণ শহর খান ইউনিসের কাছাকাছি এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কারণ গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখ পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হয়েছে।
খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল থেকে শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষ পালিয়ে যাওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেছেন, ইসরাইলি স্থল আক্রমণের কারণে হাসপাতালটিকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হওয়ার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকায় একজন নারী ও একটি শিশুসহ মোট ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ছয়ে পৌঁছেছে।