ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • ৮ বার

বিদ্রোহী দমনে এবার নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার এমনটাই অভিযোগ করেছে  পিডিএফ, কাচিনসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক এসব বস্তু মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এসব অস্ত্র রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করছে। এমন অভিযোগের পর ঘটনা তদন্তের আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ একাধিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস; যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।

কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউই বলেছেন, ‘রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে এসে পড়ে। এসব বোমা যখন পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। আর এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে, যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।’

মিয়ানমারের ফ্রন্ট লাইনজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা দেওয়া অলাভজনক সংস্থা ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স (এফবিআর) জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জান্তা বাহিনী ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এফবিআর। সাধারণত ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য’ এই টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তারা।

এটি মানুষের শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চলাচল বা কর্মদক্ষতা কমে যায়। এমন অভিযোগের পর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমার জান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১০:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

বিদ্রোহী দমনে এবার নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার এমনটাই অভিযোগ করেছে  পিডিএফ, কাচিনসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক এসব বস্তু মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এসব অস্ত্র রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করছে। এমন অভিযোগের পর ঘটনা তদন্তের আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ একাধিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস; যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।

কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউই বলেছেন, ‘রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে এসে পড়ে। এসব বোমা যখন পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। আর এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে, যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।’

মিয়ানমারের ফ্রন্ট লাইনজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা দেওয়া অলাভজনক সংস্থা ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স (এফবিআর) জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জান্তা বাহিনী ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এফবিআর। সাধারণত ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য’ এই টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তারা।

এটি মানুষের শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চলাচল বা কর্মদক্ষতা কমে যায়। এমন অভিযোগের পর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমার জান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।