টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ বার্বাডোজে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে। ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম অপরাজিত দুই দল ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে।
ভারত ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। এর আগে দুবার ফাইনাল খেলে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উপমহাদেশের দলটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম ফাইনালের টিকিট পেয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে নক আউট পর্বে টানা ৭ ম্যাচ হারের পর জিতেছে প্রোটিয়ারা। এবারের আসরে ৮ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ ম্যাচে ভারতের জয় ৭টি। একটি ম্যাচ ভেস্তে গেছে বৃষ্টির কারণে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত দুদলের ২৬ বার দেখা হয়েছে। ভারত জিতেছে ১৪ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১১টি। একটি ম্যাচে ফল হয়নি।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত জিতেছে ৫ ম্যাচে। প্রোটিয়াদের মাটিতে তাদের জয় ৬টি। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তাদের জয় ৩টি।
ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৬ ম্যাচ। নিজেদের মাঠে তাদের জয় ৩টি। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তাদের জয় আছে ২টি।
বার্বাডোজের এই মাঠে এবারই প্রথমবার দেখা হচ্ছে দুদলের। এই মাঠে ৩২ ম্যাচের ১৯টিতে জিতেছে আগে ব্যাট করা দল। পরে ব্যাট করা দলের জয় ১১টি।
বার্বাডোজে ৩ ম্যাচ খেলতে নেমে ২ বার হেরেছে ভারত। এই ভেন্যুতে ভারতের সর্বোচ্চ রান ১৮১। সর্বনিম্ন সংগ্রহ ১৩৫।
ফাইনালের ভেন্যুতে ৩ ম্যাচের ২টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের হার একটি। এই মাঠে তাদের সর্বোচ্চ রান ১৭০, সর্বনিম্ন ১২৯।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ভারতের জয় ৪টি। ২টি জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
অবশ্য সার্বিক লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও এই সংস্করণে সবশেষ ৫ বারের দেখায় ৩ বারই হেসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ বার ভারত।
বার্বাডোজে সর্বোচ্চ ইনিংস ২২৪/৫। সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৮০। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন অবস্থা হয়েছিল আফগানিস্তানের। এই ভেন্যুতে প্রথম ইনিংসের গড় ১৫৩ রান।