ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে আর জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না: র‌্যাব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • ৩৫ বার

বাংলাদেশে আর জঙ্গিবাদ উত্থান হবে না বলে দাবি করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। সোমবার হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গুলশান মডেল থানার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব অনেক আধুনিক হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা তৎপর আছে। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও তৎপর র‌্যাব। পলাতক জঙ্গিদের নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও। সেনা অভিযানে নিহত হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি।

হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই নৃশংস জঙ্গি হামলার ৮ বছর আজ। হাইকোর্টের রায়ের পর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তা প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারাগারে রয়েছেন আরও ৮ জন।

নৃশংস ওই হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গেল বছর অক্টোবরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এখনো প্রকাশ হয়নি সেই পূর্ণাঙ্গ রায়।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ নিরীহ কতগুলো মানুষকে তারা ধর্মের নাম ও উগ্রবাদীতার নামে হত্যা করেছে। এখন যাদের আদেশগুলো হয়েছে তারা কিন্তু পেছনে ছিল, তারাই কিন্তু ওদের মদদ দিয়েছে অস্ত্র দিয়ে, টাকা দিয়ে। মূল পরিকল্পনার অনেকাংশে ওরা ছিল। যার ফলে ওদের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জঙ্গি হামলায় যারা জড়িত তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া প্রয়োজন ছিল। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পুরো রায় পাওয়ার পর আমরা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো, যোগাযোগ করবো। ওনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু এখন আমরা রায় পুরোটা পাইনি, সেটা পাওয়ার পর আমরা কি করবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

পুলিশের তদন্ত বলছে, ওই হামলায় জড়িত নব্য জেএমবি যারা ঘটনার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস বলে দাবি করেছিল।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে আর জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না: র‌্যাব

আপডেট টাইম : ১০:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশে আর জঙ্গিবাদ উত্থান হবে না বলে দাবি করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। সোমবার হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গুলশান মডেল থানার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব অনেক আধুনিক হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা তৎপর আছে। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও তৎপর র‌্যাব। পলাতক জঙ্গিদের নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও। সেনা অভিযানে নিহত হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি।

হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই নৃশংস জঙ্গি হামলার ৮ বছর আজ। হাইকোর্টের রায়ের পর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তা প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারাগারে রয়েছেন আরও ৮ জন।

নৃশংস ওই হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গেল বছর অক্টোবরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এখনো প্রকাশ হয়নি সেই পূর্ণাঙ্গ রায়।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ নিরীহ কতগুলো মানুষকে তারা ধর্মের নাম ও উগ্রবাদীতার নামে হত্যা করেছে। এখন যাদের আদেশগুলো হয়েছে তারা কিন্তু পেছনে ছিল, তারাই কিন্তু ওদের মদদ দিয়েছে অস্ত্র দিয়ে, টাকা দিয়ে। মূল পরিকল্পনার অনেকাংশে ওরা ছিল। যার ফলে ওদের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জঙ্গি হামলায় যারা জড়িত তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া প্রয়োজন ছিল। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পুরো রায় পাওয়ার পর আমরা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো, যোগাযোগ করবো। ওনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু এখন আমরা রায় পুরোটা পাইনি, সেটা পাওয়ার পর আমরা কি করবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

পুলিশের তদন্ত বলছে, ওই হামলায় জড়িত নব্য জেএমবি যারা ঘটনার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস বলে দাবি করেছিল।