নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় জিয়া সরণিতে কালভার্ট নির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল ও এসবের অঙ্গ সংগঠনের তরুণ নেতারা।
বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহেনা আক্তার আশা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালেহা আক্তার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আফসানা ইয়াসমিন, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. জুবায়ের আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়রা চন্দ্রা চাকমা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. নুর আল আমিন।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ‘ প্রকল্পের আওতায় এই তরুণ নেতারা ইয়ং লিডার ফেলোশিপ (ওয়াইএলএফপি) প্রোগ্রামে ২৪তম ব্যাচে অংশ নিয়েছেন। এই ফেলোশিপ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে ভিন্ন ভিন্ন দলের হলেও তারা একসঙ্গে কাজ করেন। তরুণ রাজনীতিকদের মাঝে এটি একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, তিন দলের তরুণ নেতৃবৃন্দ গত মে মাস থেকে থেকে জিয়া সরণি কালভার্ট নির্মাণ বিষয়ে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম শুরু করে, যা ৬১ নম্বর ওয়ার্ডবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এই কার্যক্রমের আওতায় ফেলোগণ পারস্পরিক ও নিজ নিজ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় নোয়াপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কালভার্ট নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে কথা বলেন এবং সমস্যা সমাধানে স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় তিন শতাধিক গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।
সংবাদ সংম্মেলনে বলা হয়, নয়াপাড়া ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থীকে যেতে হয়। সাধারণ জনগণ ও নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এ কালভার্ট অত্যন্ত প্রয়োজন। এই মোড় সংলগ্ন রাস্তাটি মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকে। এই মোড়ে পথচারী ও সাধারণ জনগণকে রাস্তা পারাপারের জন্য অনেক ঘুরপথ দিয়ে যেতে হয়। তাই, অনেকে দ্রুত রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। জনগণের চলাচল শঙ্কামুক্ত রাখতে উক্ত স্থানে অস্থায়ী প্রায় ৮ ফুট কালভার্ট নির্মাণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, কালভার্ট নির্মাণ শুরুর দাবিতে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি গত ৬ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর মো. জুম্মন মিয়া আবেদনটি গ্রহণ করেন।
কাউন্সিলর মো. জুম্মন মিয়া ফেলোদের সঙ্গে নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তিনি তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়ে ফেলোরা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, জনপ্রতিনিধিদের মাঝে কালভার্ট নির্মাণ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তাই, এই সড়কে অনতিবিলম্বে কালভার্ট নির্মাণের জন্য দক্ষিণ সিটি কনপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিললের নিকট জোর দাবি জানাই।