দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে রাষ্ট্রপ্রধান হন তিনি। তবে এবার তাকে জোট সরকার গঠন করতে হয়েছে।
দিনভর নানা নাটকীয়তা, সন্ধ্যায় বিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসার পর রামাফোসাকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য নির্বাচিত করেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
এর আগে গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় নেলসন ম্যান্ডেলার ঐতিহাসিক দল এএনসি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে রামাফোসা বলেন, ‘আমাদের দেশের সবার ভালোর জন্য নতুন জোট সরকারের নেতারা একসঙ্গে কাজ করবেন—এমনটাই চাওয়া ভোটারদের।
এখন রামাফোসার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ জোট সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা। এতে দীর্ঘদিনের বিরোধীপক্ষ ডিএর সদস্যদেরও রাখতে হবে।
দেশটির ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি), মধ্যডানপন্থী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) এবং আরও কয়েকটি ছোট দল রামাফোসার ‘জাতীয় ঐক্যের’ সরকারে জোট গড়েছে।
নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পায় ক্ষমতাসীন এএনসি। ডিএ পায় ২২ শতাংশ ভোট। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় জোট সরকার গড়ার বিকল্প ছিল না রামাফোসার।
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়ার ডাক দেন তিনি। আইনসভায় আসনসংখ্যায় এএনসির পর দ্বিতীয় বড় দল ডিএ।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটির প্রাক্কালে গত বৃহস্পতিবার রাতে এএনসি ঘোষণা করে, জোট সরকার গঠন করা নিয়ে ডিএ ও কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। জোট গড়ার পরে ক্ষমতাসীন দলের মহাসচিব ফিকিল এমবালুলা বলেন, এটা চমকপ্রদ একটি পদক্ষেপ।
২০১৭ সালে এএনসির প্রেসিডেন্ট হন রামাফোসা। পরের বছর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নেন। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে তখনকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। সূত্র : বিবিসি