মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু যে চীনপন্থি সেটা আর গোপন কোনো বিষয় নয়। এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বেইজিং সফর করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গেও শুরু হয় টানাপোড়েন। মুইজ্জু সরকার দেশটিতে থাকা ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠিয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যেই কয়েকদিন আগে ভারত সফর করেছেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। এমনকি তার প্রথম সরকারি সফরকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলেও খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। সেই সঙ্গে তিনি আশাবাদী যে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াদিল্লি আসেন মুইজ্জু।
সফরে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের ফলে ভবিষ্যতে একইভাবে মালদ্বীপের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।’
খবরে বলা হয়েছে, একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং একসাথে একটি ভোজসভায় অংশ নিয়েছেন, যেখানে মুইজ্জুকে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। তার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে।
ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে তার বৈঠকে, মালদ্বীপের নেতা উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং মালদ্বীপে ভারতের ক্রমাগত সহায়তা স্বীকার করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও মুইজ্জুর সাথে দেখা করেছেন এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
মুইজ্জু গত বছরের নভেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে বসেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মুইজ্জুর এই সফরকে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে নয়াদিল্লি।