আফ্রিকার দেশ মালাবির ভাইস–প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা ও অন্য ৯ জনকে বহনকারী একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছে। বিমানটিতে ভাইস–প্রেসিডেন্টের স্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা রয়েছেন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পরে বিমানটি মালাবির উত্তরে মজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। এ বিষয়ে মালাবির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সোমবার একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিলিমা ও অন্যদের নিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমানটটি সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে রাজধানী লিলংওয়ে থেকে উড্ডয়ন করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বিমানটি গন্তব্যে অবতরণ করেনি।’
এর আগে গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বহনকারী একটি বিমান নিখোঁজ হয়। পরে দেশটির পাহাড়ি এলাকায় সেটিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং আরোহীদের সবাই নিহত হন। ওই ঘটনার ২২ দিন পর মালাবির ভাইস–প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা ও তার সঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি নিখোঁজের ঘটনা ঘটল।
নিখোঁজ ফ্লাইটটির অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে সাওলোস চিলিমার স্ত্রী মেরি ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের ইউনাইটেড ট্রান্সফরমেশন মুভমেন্ট (ইউএমটি) পার্টির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছে। বিমনাটির কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মালাবির বিমান কর্মকর্তারা নিখোঁজ বিমনটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ভ্যালেন্টিনো ফিরির কাছ থেকে ঘটনার জানার পরপরই বাহামাসে নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছেন।
মালাবির তথ্যমন্ত্রী মোসেস কুনকুয়ু বলেছেন, উড়োজাহাজটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ভাইস–প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা তিন দিন আগে মারা যাওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী রাল্ফ কাসাম্বারার সমাধিতে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছিলেন। তার রাজনৈতিক কর্মজীবনের আগে তিনি ইউনিলিভার ও কোকা কোলার মতো বহুজাতিক কোম্পানিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
৫১ বছর বয়সী সাওলোস চিলিমা ২০১৪ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।