ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। লোকসভায় এখনও সর্ববৃহৎ দল বিজেপি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই তাদের কাছে। এই আবহে আগামী ৫ বছর স্থিতিশীল সরকার চালাতে গেলে মোদিকে শরীকদের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (৫ জুন) বৈঠকে বসবে মোদির মন্ত্রিসভা।
ভোটের ফল প্রকাশিত হতেই চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতো এবার আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তবে লোকসভায় এখন তারাই সর্ববৃহৎ দল। তাছাড়া জোটসঙ্গীদের নিয়ে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগার অনায়াসে পার করেছে মোদির জোট। এই আবহে সরকার গঠনে কাজ শুরু করেছেন মোদি।
এনডিএ শরিক জেডিইউ এবং টিডিপি-কে ইন্ডিয়া জোটে আনার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এরই মাঝে আবার টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। এই সবের মাঝেই বুধবার থেকে পরবর্তী সরকার গঠনের কাজ শুরু করতে চলেছে বিজেপি। এই আবহে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ১৭তম লোকসভাকে ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আজ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এই সংক্রান্ত নোট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। সেই প্রস্তাব পেয়ে সপ্তদশ লোকসভা ভেঙে দেবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে অষ্টাদশ লোকসভায় নির্বাচিন সংসদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হবে। এরপর নতুন লোকসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে
উল্লেখ্য, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৫৪২ আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। অন্যদিকে বিরোধীদল কংগ্রেস জয় পেয়েছে ৯৯টি আসনে। সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ২৭২টি আসন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে ২৯ আসনে জয় পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি জয় পেয়েছে ১১টি ও কংগ্রেস ১টিতে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেড় লাখ ভোটে কংগ্রেসের অজয় রাইকে হারিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া রাজ্যটির মোট ৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩৩টি আসন। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি। তবে সবচেয়ে বেশি ৩৭টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৪টি। আর গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে ৭ লাখ ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।