মেয়েরা তোমরা কী চাও

একটা কথা বলব না বলব না করেও না বলে পারছি না। এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের নিয়ে ডকুমেন্টারি বানানোর সময় আমরা জিগ্যেস করেছিলাম, মেয়েরা তোমরা কী চাও? ওরা বলেছিল, দুপুরে পেট ভরে খেতে চাই।
আরে, আরো বেশি কিছু চাও।
বেশি করে খাবার দেন, বাসার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে চাই।
এরা ভুটানকে দিয়েছে ডজন খানেক গোল, ভারতকেও হারিয়েছে।কলসিন্দুরের এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের প্রথম আলো সামান্য পরিমাণে হলেও নিয়মিত বৃত্তি দেয়।
ওদের প্রধান শিক্ষিকা মিনতিরানীকে বললাম, যারা এএফসি অনূর্ধ ১৪ দলের চ্যাম্পিয়ন, তারা তো যা হোক একটা বৃত্তি পায়, আবার এরা বেগম ফজিলাতুন্নেছা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, প্রাইমারি স্কুলের মেয়ে। ওদের জন্য তো কিছু করা দরকার।
মিনতি দি চিন্তিত সামনের বারের দল নিয়ে। ওরা কী খাবে? কী পরবে? জুতা পাবে কোথায়? ইউনিফরম?এখন আবারও প্রাইমারি স্কুলের মেয়েরা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কাপ এর প্রিপারেশন নিচ্ছে। বিশটা মেয়ে যদি খেলে, রোজ ত্রিশটাকার নাশতা খায়, মাসে লাগে ১০০০ টাকা, ২০ জন ২০ হাজার টাকা। বছর শেষে ২ লাখ ৪০। এদের ইউনিফরম লাগে। যাতায়াত খরচ লাগে। এরা একেবারেই গারো পাহাড়ের কাছে থাকে। বেশ সংগ্রামী পরিবার থেকে উঠে আসা। আর আগের বারের চ্যাম্পিয়ন আছে ১৭টা মেয়ে।
সব মিলিয়ে লাখ তিনেক চারেক হলে এক বছরের ব্যবস্থা হয়। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি বা কোম্পানি এই বৃত্তিটা দিতে যদি এগিয়ে আসেন, আমি স্কুলের হেড , ফুটবল কোচ মফিজ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারি। মাসে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা করে দিতে চাইলে তার ব্যবস্থার তদারকিও করতে পারি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর