কন্যাকুমারীর ধ্যানগৃহ বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল, যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদি ধ্যান করবেন।
তামিলনাড়ু সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কে বালকৃষ্ণান দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে সিপিএম নেতা লেখেন, মোদি ব্যক্তিগতভাবে কোথাও ধ্যানে বসতেই পারেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানমগ্ন হওয়া বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হলে দেশে সপ্তম দফা ভোটের আগে তা নির্দিষ্ট একটি দলকে (বিজেপি) বিশেষ সুবিধা দেবে।
মমতা আরো অভিযোগ করে বলেন, এই সময়টাকেও খুব কৌশল করে মোদি প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী ধ্যানে বসেছেন, এটা সব মিডিয়াই তুলে ধরবে। এখন দেখার বিষয় কমিশন এ নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।
একই আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেসও। দলটির নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও সৈয়দ নাসির হুসেন কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। কংগ্রেস বলেছে, এমনটা হলে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও লঙ্ঘন করবেন মোদি। ৩০ মে সন্ধ্যা থেকেই প্রচার পর্ব শেষ। ভোটাররা এ সময় ভোটদান নিয়ে ভাবনা করেন। তখন মোদি ধ্যানে বসলে এবং তা টেলিভিশনে প্রচার হলে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন। এটাও তার একধরনের পরোক্ষ প্রচার। যেখানে মোদি নিজেই এবারের পর্বে বারানসিতে প্রার্থী। তাই কংগ্রেসের দাবি, কমিশন যেন কোনোভাবেই টেলিভিশন বা অন্যান্য গণমাধ্যমে এ ঘটনা প্রচার করার নির্দেশ না দেন।
বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। কন্যাকুমারীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (যেখানে তিন দিক থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর আর ভারত মহাসাগর এসে মিশেছে) পাথরের ওপর বসে স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালে ধ্যান করেছিলেন।