হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গত ১৯ মে মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
সাধারণত ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘ যখন কোনো দেশের বর্তমান রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান মারা যান, তখন তার প্রতি সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতেও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। এই অনুষ্ঠানে ইব্রাহিম রাইসির ওপর বক্তৃতা দেবেন বিভিন্ন দেশের নেতারা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এই আয়োজনে অংশ নেবে না উল্লেখ এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এই আয়োজনে অংশ নেব না।’ ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণসভায় অংশ না নিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাতিসংঘ আয়োজিত কোনো স্মরণসভায় অংশ নেয়নি এমনটা জানা যায় না।
ইরানের রাইসিকে কট্টরপন্থী বলে বিবেচনা করা হয় পশ্চিমা বিশ্বে। ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বর্তমান সুপ্রিমো আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে সব সমীকরণ উল্টে গেছে। গত ১৯ মে ইরান-আজারবাইজান সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় রাইসি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ওপর কয়েক দশক ধরে নিপীড়ন চালানো নিপীড়কের স্মৃতিচারণ করা নয়।’
এ সময় ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাইসি ১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দির বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ অসংখ্য ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’
ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মানবাধিকারের কিছু ভয়াবহ এবং সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড তার আমলে ঘটেছে। এর মধ্যে ইরানি নারীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন তার আমলে ঘটেছে।’
অবশ্য ওই মার্কিন কর্মকর্তা কী ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।