কুমিল্লার মুরাদনগরে বিয়ের ১০ মাসের মধ্যেই শিল্পী আক্তার নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার মধ্যনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮) পলাতক রয়েছেন।
নিহত শিল্পী আক্তার (২১) উপজেলার টনকি এলাকার রুক্কু মিয়ার মেয়ে।
নিহতের মা সুরাইয়া বেগম বলেন, গত ১০ মাস আগে পারিবারিকভাবে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে আমার মেয়ে শিল্পীর বিয়ে হয়। সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে প্রায় সময়ই মারধর করত গিয়াস। এরই মাঝে আমি তাকে কয়েকবার টাকা দিয়েছি। সোমবার একইভাবে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য তাকে মারধর করা হয়। টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় আমার মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
আমি যদি জানতাম এই ডাকাত আমার মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করবে তাইলে আমার কলিজার টুকরাকে তার সংসারে দিতাম না।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঝগড়ায় জড়ান তারা। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে ওই গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করেন ঘাতক স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠায়। ঘাতক স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।