নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদনে অটো-সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে মারারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক চালক আহত হয়ে মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে অটো-সিএনজি চালকরা অর্ধদিবস পৌর সদরে যান চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল করে বিচারের দাবি জানিয়েছে।
অটো চালকদের কাছ থেকে জানা যায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে কাইটাইল থেকে অটো নিয়ে মদন পৌর সদরে আসার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সড়কে পৌছঁলে মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মিয়ার লোকজন অটো চালক সোনা মিয়ার কাছে চাঁদা দাবি করে। এতে সে অপারগতা প্রকাশ করলে মালিক সমিতির লোকজন তাকে লাঠি পেঠা করে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে লোকজন তাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ সংবাদ চতুর দিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক সকল রোডের অটো-সিএনজি যাতায়াত বন্ধ রেখে বিচারের দাবিতে চালকরা পৌর সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে। এতে বিভিন্ন সড়কে যাতায়তকারী যাত্রীগণ পড়েন বিপাকে। কিছুক্ষণ পর চালকরা বিক্ষোভ মিছিল করে চাঁদা বন্ধ ও বিচারের দাবিতে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সিএনজি, অটো রিক্সা, বেবি টেক্সি মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মিয়া জানান, আমাদের এই সংগঠনটি একটি বৈধ সংগঠন। শ্রমিকদের ট্রাস্ট গঠন করার জন্য ১০ টাকা করে প্রতি গাড়ি থেকে নেয়া হচ্ছে। আজ (শনিবার) অটো চালকের সাথে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি, তবে তর্ক হয়েছে। তারা মিথ্যা একটি অভিযোগ দায়ের করে আমাদের বেকায়দায় ফেলার পাঁয়তারা করছে।
গাড়ি চালক ও মালিক মোঃ তামীম, কাওছারে ভাষ্য যারা মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করে টাকা আদায় করছে। তারা কোনো গাড়ির মালিক না। ক্ষমতার দাপটে তারা এই অবৈধ কাজ করছে। চাঁদা না দেওয়ায়, গত শুক্র হতে আমাদের চালকদের মারপিট করেছে। তাদের আক্রমনে একজন চালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রশাসন কর্তৃক অটো-সিএনজি, স্ট্যান্ড পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ও বিমান বৈশ্য জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা শ্রমিকদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম চালিয়ে চাচ্ছি। মালিক সমিতির নামধারী একটি সংগঠন কিছুদিন ধরে চাঁদা আদায় করছে। এ নিয়ে আজ (শনিবার) মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মূলত বাস ছাড়া অন্য কোন মালিক সমিতি হতে পারে না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।
মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।