ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রুডো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ৫৯ বার

কানাডার উইনিপেগের একটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পরই মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মসজিদে গিয়ে দেখা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি মুসলিমদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সম্প্রতি উইনিপেগের একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা পুরো সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছে। আমি মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা তাদের নিরাপত্তা রক্ষা ও ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। প্রার্থনাস্থলে কাউকে ভয় অনুভব করতে হবে না।

সিবিসি কানাডার খবরে বলা হয়েছে, উইনিপেগের ওয়েস্ট এন্ডের একটি মসজিদে গত সপ্তাহে ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে এমন ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা ভীত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পুলিশ জানায় যে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এলিস এভিনিউ মসজিদ, জামিয়া মসজিদ আবু বকর আল-সিদ্দিক এবং কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় মসজিদ প্রাঙ্গণে অস্ত্রসহ প্রবেশের চেষ্টা করেন দুই ব্যক্তি। তখন তাদেরকে আটকে দেন মসজিদের স্বেচ্ছাসেবকরা। এরপর ওই ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান জেনসন মিশালিসেন বলেন, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। এতে কেউ আহত হয়নি বা কিছু চুরি হয়নি।

এই ঘটনার পর সেখানকার মুসলিম বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। পবিত্র রমজানে মুসলিমরা রোজা পালন করেন এবং বেশিরভাগ সময় নামাজ ও সেবামূলক কাজে সময় কাটান।

কেন্দ্রের পরিচালক আদনান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার পর থেকে খুব কম লোকই মসজিদে ইফতারে হাজির হচ্ছেন। মানুষ সত্যিই ভীত এবং তারা বাড়িতে নামাজ আদায় করছে।

কেন্দ্রের পরিচালক সিদ্দিকী বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিরা সশস্ত্র ছিল। একটি বিস্ফোরণের মতো বিকট আওয়াজ শুনতে পান। কী ঘটেছে দেখতে এসে দেখেন যে, দুই ব্যক্তি কুড়াল ও বড় ছুরি নিয়ে সেখানে রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা জেনসন মিশালিসেন বলেন, ধর্মীয় কারণে মসজিদে হামলা হয়েছে কি না সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা অবশ্যই এই বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এটি প্রার্থনার স্থান এবং আমরা এটিকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রুডো

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

কানাডার উইনিপেগের একটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পরই মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মসজিদে গিয়ে দেখা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি মুসলিমদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সম্প্রতি উইনিপেগের একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা পুরো সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছে। আমি মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা তাদের নিরাপত্তা রক্ষা ও ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। প্রার্থনাস্থলে কাউকে ভয় অনুভব করতে হবে না।

সিবিসি কানাডার খবরে বলা হয়েছে, উইনিপেগের ওয়েস্ট এন্ডের একটি মসজিদে গত সপ্তাহে ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে এমন ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা ভীত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পুলিশ জানায় যে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এলিস এভিনিউ মসজিদ, জামিয়া মসজিদ আবু বকর আল-সিদ্দিক এবং কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় মসজিদ প্রাঙ্গণে অস্ত্রসহ প্রবেশের চেষ্টা করেন দুই ব্যক্তি। তখন তাদেরকে আটকে দেন মসজিদের স্বেচ্ছাসেবকরা। এরপর ওই ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান জেনসন মিশালিসেন বলেন, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। এতে কেউ আহত হয়নি বা কিছু চুরি হয়নি।

এই ঘটনার পর সেখানকার মুসলিম বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। পবিত্র রমজানে মুসলিমরা রোজা পালন করেন এবং বেশিরভাগ সময় নামাজ ও সেবামূলক কাজে সময় কাটান।

কেন্দ্রের পরিচালক আদনান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার পর থেকে খুব কম লোকই মসজিদে ইফতারে হাজির হচ্ছেন। মানুষ সত্যিই ভীত এবং তারা বাড়িতে নামাজ আদায় করছে।

কেন্দ্রের পরিচালক সিদ্দিকী বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিরা সশস্ত্র ছিল। একটি বিস্ফোরণের মতো বিকট আওয়াজ শুনতে পান। কী ঘটেছে দেখতে এসে দেখেন যে, দুই ব্যক্তি কুড়াল ও বড় ছুরি নিয়ে সেখানে রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা জেনসন মিশালিসেন বলেন, ধর্মীয় কারণে মসজিদে হামলা হয়েছে কি না সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা অবশ্যই এই বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এটি প্রার্থনার স্থান এবং আমরা এটিকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করি।