চলতি মাসেই কারাগার থেকে মুক্তি মিলতে পারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানে—এমনটাই আশা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। দলটির সিনিয়র নেতা লতিফ খোসা এ বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।রোববার (৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘নয়া পাকিস্তান’ নামে সংবাদমাধ্যমটির একটি অনুষ্ঠানে লতিফ খোসা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি এটি নিশ্চিত করে বলছি যে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে (ইমরান খান) এই এপ্রিলেই মুক্তি দেওয়া হবে।’
ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে সরকার-সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে পিটিআইয়ের এ সিনিয়র নেতা বলেন, ইমরান খানের মুক্তি কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে হচ্ছে—এমনটা ভাবা অন্যায়।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে সাইফার মামলা ও ইদ্দত মামলার বিষয়ে খোসা জানান, এগুলোর আসলে ভিত্তি নেই। তিনি বলেন,‘সাইফার মামলায় আদালত ইতোমধ্যেই সেই কথিত ‘সাইফার কোথায় আছে’ সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। আর ইদ্দত মামলাটি একটি লজ্জাজনক বিষয়।’
বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ভোটে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে থাকা তোশাখানা মামলার ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঈদের পর এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।
তবে কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ এলেও ইমরান খান এখনো কারাগারে বন্দি। সাইফার মামলা, আরেকটি তোশাখানা মামলা ও সন্ত্রাসবাদী মামলার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল আছে এখনও।
এদিকে ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে লতিফ খোসার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পর একই ধরনের দাবি করেছেন পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহার আলী খানও। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, শিগগিরই কারামুক্ত হবেন ইমরান খান।
উল্লেখ্য, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ইমরান খানকে। সে সময় ইমরান খান ও পিটিআই নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী। পরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সাইফার ও ইদ্দত মামলায়ও অভিযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় বর্তমানে কারাভোগ করছেন ইমরান খান।