শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট তিন ফরম্যাটেই খেললো বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট দুই ফরম্যাটেই হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজের দল যদিও মিনহাজুল আবেদীনের নির্বাচক কমিটি করে দিয়ে গেছেন।
তারপরও এই দুই দলেই গাজী আশরাফ হোসেনের নতুন নির্বাচক কমিটির আনা দুটো সিদ্ধান্ত বেশ প্রশংসিত হয়েছে। একটি হচ্ছে টি–টোয়েন্টি দল জাকের আলীকে ডাকা এবং তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে লিটন দাসকে বাদ দেওয়া।
কিন্তু গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি ঘোষিত দল দুই সিরিজেই চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলো।
এ বিষয়ে গাজী আশরাফ হোসেন জানান, সিলেট ও চট্টগ্রাম দুই টেস্টের কোনোটিতেই বাংলাদেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয়নি। সিলেটে উইকেট ছিল সবুজ, স্পোর্টিং। চট্টগ্রামে ব্যাটিং সহায়ক। দুই দলের জন্যই সমান সুবিধা। কিন্তু এ রকম উইকেটে ঘরের মাঠেও যে বাংলাদেশের জন্য খেলাটা কঠিন হয়ে পড়ে, তার প্রমাণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকাল শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজ। এ নিয়ে একবাক্যে প্রধান নির্বাচকের মন্তব্য, ‘আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ঠিক রেখে সিরিজ খেললাম, যেখানে কোনো বাড়তি সুবিধা নেওয়া হয়নি। আর তাতেই দেশের ক্রিকেটের প্রকৃত চিত্রটা উঠে এল। ‘
এ সময় তিনি আরও জানান, প্রস্তুতির অভাব এই ব্যাটিং ব্যর্থতার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে। এছাড়াও জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের পর্যবেক্ষণ বলছে, টেস্ট ক্রিকেটে টেম্পারামেন্ট বা মেজাজ, মনোযোগ, দক্ষতা এবং পরিস্থিতি সঠিকভাবে বুঝতেই ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বিসিবি যতো বেশি লাল বলে খেলার সুযোগ করে দেবে ততোই ক্রিকেটাররা উন্নতি করবে এবং তাদের সামর্থ্য বাড়বে।