বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নগদ সংকটে থাকা পাকিস্তানের আরও এক কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থার দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতাদের আশঙ্কা, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছর ১ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। একইসময় দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এই অর্থবছরে পাকিস্তান সমষ্টিক অর্থনীতির সব কয়টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবে।
আন্তর্জাতিক ঋণদাতাটি জানিয়েছে, পাকিস্তান তার প্রাথমিক বাজেটের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি থাকবে। টানা তিন বছর দেশটি ঘাটতিতে থাকবে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক সাইয়েদ মুর্তজা মুজাফফরি বলেন, বোর্ডভিত্তিক এখনো নতুন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা অপর্যাপ্ত।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪০ শতাংশ বজায় রেখে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশে স্থির থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। প্রায় ৯ কোটি ৮০ লাখ পাকিস্তানি ইতিমধ্যেই দারিদ্র্যের সাথে মোকাবেলা করছে। প্রতিবেদনে প্রায় এক কোটি মানুষের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যারা এই মুহূর্তে দারিদ্রসীমা রেখার কাছাকাছি রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই মানুষগুলো দারিদ্রসীমার নিচে পড়ে যেতে পারে।