রুশ বাহিনীর অভিযানে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ‘শত্রুদের যুদ্ধের সম্ভাবনা’ হ্রাস করতে চলেছে। খবর আরটির।
মঙ্গলবার মস্কোতে রুশ বাহিনীর সামরিক সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, গত তিন মাসে রুশ সেনারা ইউক্রেনের ১ হাজার ২০০ ট্যাংকসহ ১৪ হাজারেরও বেশি সাঁজোয়া যান, সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনা ধ্বংস করেছে। মস্কো একই সময়ের মধ্যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন অঞ্চলগুলোর প্রায় ৪০৩ বর্গকিলোমিটার মুক্ত করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেভে কিয়েভের তেমন কোনো সাফল্য নেই। কিন্তু ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব এখনও তাদের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে যে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পরাজিত করার সক্ষমতা তারা রাখে।’
‘আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এখন (রুশ বাহিনীর সঙ্গে) যুদ্ধের পরিবর্তে সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে এবং বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনের জঙ্গিদের এ ধরনের অপরাধের জন্য অসমতাপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’
আরটির খবরে বলা হয়েছে, কেবল গতমাসেই রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে ১৯০টি গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও সূক্ষ্ম অস্ত্র ও চালকবিহীন বিমান ব্যবহার কিয়েভের সামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে দুটি বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে।
গত মাসে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী তাদের ৪ লাখ ৪৪ হাজার সেনা হারিয়েছে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেন, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের মাত্র ৩১ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। অভিযানে কতজন আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন তা তিনি প্রকাশ করেননি।