সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে ঈদের আগে মুক্তি নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।শনিবার (৩০ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বেশ কিছু গণমাধ্যমে জাহাজ ও নাকিবদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা সঠিক নয়।
কেএসআরএম মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, ঈদের আগে জিম্মিদের মুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে, তবে ঈদের আগে মুক্ত হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঈদের আগে জিম্মিরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না।
তিনি বলেন, নাকিবদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হয়। যেসব করে তাদের দেশে আনতে ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের জন্য সুসংবাদ
গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।