ঈদে ঘরে ফেরার আনন্দ মাটি করে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন স্পটে লেগে যাওয়া যানজট। এবার কমপক্ষে ১৫৫টি স্থানে যানজট ও দুর্ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ হাটবাজার, টোলপ্লাজায় ধীরগতি, বাস-ট্রাকের স্ট্যান্ড এবং যত্রতত্র ইজিবাইক ও অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামার কারণে ঈদের সময় তীব্র যানজট দেখা দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এবারই প্রথম ২৯ রমজান পর্যন্ত অফিস খোলা থাকতে পারে। এতে শেষ সময়ে মহাসড়কে একসঙ্গে সব যাত্রীর ঢল নেমে যানজট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এ ছাড়া সড়কে চলমান উন্নয়নকাজ, গণপরিবহন সংকট ভোগান্তিকে নিতে পারে চরমে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সারাদেশে মহাসড়কের ১৫৫টি স্থানকে যানজটপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে বেসরকারি সংস্থার ভাষ্য, যানজট হতে পারে ৭১৪ স্পটে। সওজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সড়কের পাশে কলকারখানা, বাজার, যত্রতত্র ইউটার্ন, যাত্রী ওঠানামা, সরু ও ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানজট হতে পারে এসব স্থানে।
তবে সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। তিনি বলেছেন, মহাসড়কে যেসব সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। প্রতিবছর ২৮ রমজান অফিস শেষে ঈদের ছুটি শুরু হয়। সে হিসাবে এবার ৮ এপ্রিল অফিস শেষে ছুটি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী এ বছর ২৯ রমজান তথা ৯ এপ্রিল অফিস-আদালত খোলা। ১০ এপ্রিল থেকে ছুটি। পরের দিন ঈদ।
আগামী ৫ এবং ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। কিন্তু মাঝে ৮ ও ৯ এপ্রিল খোলা। দুই দিন কর্মদিবস থাকায় যাত্রীর বড় অংশ আগেভাগে শহর ছাড়তে পারবে না। ৯ এপ্রিল বিকেল থেকে চাপ বাড়বে সড়কে। ছুটি কমে যাওয়ায় একসঙ্গে যাত্রীর চাপ সড়কে পড়লে যানজটের ভোগান্তি অবধারিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, ছুটি না বাড়লে যানজট বাড়বে।
এবার চৈত্র মাসে নিয়মিত বিরতিতে বৃষ্টি হচ্ছে। এতেও ভয় আছে। বৃষ্টি বাড়লে মহাসড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। ঈদযাত্রায় বৃষ্টি হলে যানবাহনের গতি কমে যানজটের শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের অবস্থা ভালো হলেও চট্টগ্রামের পথে ভয় টোল প্লাজার ধীরগতি নিয়ে। প্রতি ঈদযাত্রায় গোমতী ও মেঘনা টোল প্লাজায় আটকে পড়ে যানবাহন। এ ছাড়া ঈদের সময় তল্লাশির নামে গাড়ি থামিয়ে হয়রানি ও টাকা আদায় করায় যানজট বাড়ে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঈদে মহাসড়কে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও গাড়ি পার্কিংয়েও ভোগান্তি বাড়ে। কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা, গৌরীপুর বাজার, চান্দিনার মাধাইয়া বাসস্ট্যান্ড, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, বুড়িচংয়ে নিমসার বাজার, ক্যান্টনমেন্ট মোড়, সদর দক্ষিণ থানার সামনের ইউটার্ন, পদুয়ারবাজার বিশ্ব রোড ও চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় এ কারণে যানজট হতে পারে বলে সওজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যকরী সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, গোমতী ও মেঘনার টোল প্লাজাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের অন্যতম পয়েন্ট।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগ রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সওজের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, সড়কে মেরামতযোগ্য বড় সমস্যা নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৪৮ স্পট
হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মহাসড়কের ৪৮টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও সেখানে যানজট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এলাকাগুলো হচ্ছে কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢাল, গ্রিনলাইন ইউটার্ন, মদনপুর মোড়, মদনপুরের কেওডালা ইউটার্ন, কনকা ইউটার্ন, মোগড়াপাড়া, মেঘনা টোলপ্লাজা, সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড, সানারপাড় ইউটার্ন, মৌচাক স্ট্যান্ড, দশতলা ভবন, শিমরাইল বাসস্ট্যান্ড, আদমজী রোড, পাখির মোড়, ওয়াটার পার্ক, ভবের চর বাসস্ট্যান্ড, কলেজ গেট, আনারপুরা, ভাটেরচর নতুন রাস্তা, হাঁস পয়েন্ট, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, বলদাখাল, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, মাধাইয়া বাসস্ট্যান্ড, ইলিয়টগঞ্জ, সুয়াগাজী বাজার (উভয়মুখী), সদর দক্ষিণ থানার সামনের কাটা, নূরজাহান হোটেলের সামনের কাটা, কোটবাড়ী ইউটার্নের উভয় পাশে, জাগুরঝুলি কাটা, আলেখার চর কাটা, ক্যান্টনমেন্ট মোড় (উভয়মুখী), নাজিরাবাজার ইউটার্ন, নিমসার বাজার ইউটার্ন, চৌদ্দগ্রাম বাজার, বিসিক মোড়, লালপোল, বাড়বকুণ্ড বাজার, ছোট কুমিরা, কেডিএস মোড়, ভাটিয়ারী পয়েন্ট, ফুটলিং, ফৌজদারহাট, সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড বা বড় দারোগারহাট স্কেল, মিরসরাই থানাধীন মিঠাছড়া বাজার, নিজামপুর বাজার, বড়তাকিয়া বাজার ও জোরারগঞ্জ থানাধীন বারৈয়ারহাট বাজার।
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক
ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি যাত্রীর ঢল নামে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে। রাজধানীর গাবতলী থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ককে আরও প্রশস্ত করা হয়েছে। ব্যস্ত এলাকায় ধীরগতির গাড়ির প্রবেশ ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে ব্যারিয়ার। গাজীপুরের ভোগড়া থেকে চন্দ্রা হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক গত ঈদেই দুই পাশে সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে যমুনার বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে রংপুর পর্যন্ত অনুরূপ মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। সওজ জানিয়েছে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের ৫২টি স্থান যানজটপ্রবণ। তার পরও ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক দিয়ে সিরাজগঞ্জ হয়ে উত্তর-দক্ষিণের ২২ জেলার যান চলাচল করায় সারা বছরই চাপ থাকে। বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষণাবেক্ষণ দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারপার হয়। ঈদের সময় তা বেড়ে ৫০ হাজারে দাঁড়ায়।
গত বছর ঈদুল আজহার আগের চার দিনে সেতুতে ৫৭ বার টোল আদায় বন্ধ হয়েছিল। অর্থাৎ, সেতুতে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ ছিল। তখন ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা ১৬ মিনিট টোল আদায় বন্ধ ছিল, যা মোট সময়ে ১৮ শতাংশ। এতে দীর্ঘ যানজট হয়েছিল উত্তরবঙ্গের পথে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার অংশের এক কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়নি। এতে যানজট হতে পারে। হাটিকুমরুল মোড় থেকে জেলার চান্দাইকোনা বাজার পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার অংশেও কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। হাটিকুমরুল, ঘুড়কা, ভুঁইয়াগাঁতী ও চান্দাইকোনা অংশে দুটি লেন পুরোপুরি চালু থাকলেও বাকি দুই অংশ অসম্পূর্ণ। সওজের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, এসব কারণে যানজট হতে পারে।
ঢাকা-সিলেট
রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১৪ কিলোমিটারে ভোগান্তি হতে পারে ঈদযাত্রায়। গতকাল শুক্রবারও রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান বাইপাস সড়কে যানজট হয়। ঈদযাত্রায়ও এ দুই মহাসড়কের ১৫টি স্পটে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। ঈদের আগেই রূপসী, বরাব, বরপা, ভুলতা, যাত্রামুড়া, বিশ্বরোড, তারাবসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকছে।
ঢাকা-সিলেটে ভয় ৪১ এলাকায়
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ৪১ এলাকায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকাগুলো হচ্ছে কাঁচপুর মোড় ও পশ্চিম ঢাল, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাব বাসস্ট্যান্ড, বরাব বাসস্ট্যান্ড, সুলতানা কামাল ব্রিজ, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, বরপা বাসস্ট্যান্ড, পাকিস্তানি (এসিএস) গার্মেন্ট, রবিন টেক্স গার্মেন্ট, ভুলতা মোড়, গোলাকান্দাইল মোড়, বান্টি বাজার, পাঁচরুখি, হুনপাড়া, পুরিন্দা বাজার, মাধবদী বাসস্ট্যান্ড, শেখের চর (বাবুরহাট), পাঁচদোনা, সাহেপ্রতাব ও ভেলানগর, ইটাখোলা মোড়, মরজাল বাজার, বারৈচা বাজার, নারায়ণপুর বাজার, দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড (পৌরসভা এলাকা), আশুগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড, বগইর বাসস্ট্যান্ড, বেড়তলা বাসস্ট্যান্ড, বিশ্বরোড গোলচত্বর, নন্দনপুর বাসস্ট্যান্ড, সুহিলপুর বাসস্ট্যান্ড, বাড়িউরা বাসস্ট্যান্ড, শাহবাজপুর বাসস্ট্যান্ড, চান্দুরা বাসস্ট্যান্ড, ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড, সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ড, মাধবপুর বাজার, অলিপুর বাজার, শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বর, রুস্তমপুর টোলপ্লাজা, শেরপুর টোলপ্লাজা ও গোয়ালাবাজার।
এদিকে ঢাকা-আরিচা সড়কের আমিনবাজার, উলাইল বাসস্ট্যান্ড, সাভার থানা স্ট্যান্ড, সাভার বাসস্ট্যান্ড, সিঅ্যান্ডবি মোড়, নবীনগর বাসস্ট্যান্ড, নয়ারহাট বাসস্ট্যান্ড ও কালামপুর এই ৮টি এলাকাকে যানজটপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও ছয়টি এলাকা ঘিরেও রয়েছে যানজটের আশঙ্কা। ভবানীপুর বাজার বাসস্ট্যান্ড, হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ড, বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড, মাস্টারবাড়ি বাজার, সিড স্টোর বাজার, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এবার যানজট হওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ।
ঢাকা-সিরাজগঞ্জ-রংপুর মহাসড়কে ৫২ স্পট
উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলাচলের জন্য ৫২ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে বাইপাইল মোড়, চন্দ্রা মোড়, গোড়াই মিলগেট, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর, ফেন্সি গেটের পূর্ব অংশ, ফেন্সি গেট সার্ভিস লেন, মুলিবাড়ি আন্ডারপাসের পূর্বে, কড্ডা ফ্লাইওভারের পশ্চিমে, কোনাবাড়ী আন্ডারপাসের পূর্বে, হাটিকুমরুল পাঁচলিয়া বাসস্ট্যান্ড, হাটিকুমরুল ধোপাকান্দি ব্রিজ, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল বাজার, ঘুরকা বেলতলা, ভূঁইয়াগাতী বাসস্ট্যান্ড, হোটেল হাইওয়ে অভিভিলা, ঘোলমাইল, সিরাজগঞ্জ বাইপাস, জমজম দইঘর, বগুড়া বাজার থেকে সীমাবাড়ি কলেজ, পেন্টাগন হোটেল, ফুড ভিলেজ হোটেল, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদ, দাদপুর জামাই রোড, নিউ পাপিয়া হোটেল থেকে চাচা ভাতিজা হোটেল পর্যন্ত, জোড়া ব্রিজ, চান্দাইকোনো গরুর হাট, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক কাচিকাটা টোলপ্লাজা, বনপাড়া বাইপাস, বনপাড়া বাজার, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে বানেশ্বর বাজার, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ঘোগা বটতলা থেকে মোনায়েম কনস্ট্রাকশন, ছনকা বাজার, শেরপুর মডেল মসজিদের সামনে, নয়ামাইল বাজার, মাঝিরা বাজার, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বনানী বাসস্ট্যান্ড, শাকপালা, বগুড়া জেলার সদর থানাধীন জিয়া মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে, তিন মাথা লেভেলক্রসিং, চার মাথা ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে, বারোপুর বাসস্ট্যান্ড, মাটিডালি বিমানবন্দর মোড়, টিএমএসএসের সামনে, শিবগঞ্জ থানাধীন মহাস্থান বাসস্ট্যান্ড ফ্লাইওভারের নিচে, মোকামতলা বাসস্ট্যান্ড ফ্লাইওভারের নিচে, মায়ামনি চৌরাস্তা মোড় থেকে গোবিন্দগঞ্জ ব্র্যাক অফিস, গাইবান্ধা, পলাশবাড়ী উপজেলা পোস্ট অফিস এবং শিল্পী রেস্তোরাঁ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর পর্যন্ত, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা, পীরগঞ্জ উপজেলা বাসস্টপেজ থেকে সাসেক প্রকল্পের নির্মাণাধীন আন্ডারপাসের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত, বিশমাইল, পীরগঞ্জ, রংপুর, বড়দরগাহ আন্ডারপাস, পীরগঞ্জ, রংপুর, শঠিবাড়ী আন্ডারপাস ও শঠিবাড়ী বাজার এবং বাসস্টপেজ এলাকা, মিঠাপুকুর ও রংপুর।