গত বৃহস্পতিবার সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাতাভোগীর সংখ্যা কতজন বাড়বে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনির্ধারিত এক সভায় ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুল আলম সেখ কালের কণ্ঠকে বলেন, ভাতা ও ভাতাভোগীর সংখ্যা কী পরিমাণ বাড়বে সে বিষয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সরকার তার আয়, সক্ষমতা ও পলিসি অনুযায়ী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা যখন এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছিল, গরিব বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতা ছিল তখন মাসিক ৪০০ টাকা করে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তাঁদের ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৫০০। এরপর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬০০ এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতা ৫০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৫৫০।
এবার মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি এতে ইতিবাচক সায় দিয়েছেন। একইভাবে হিজড়া, বেদে, অনগ্রসর ও চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমের উপকারভোগী ও ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।